আশিক আকবর

আশিক আকবর

আশিক আকবরের একগুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

ছড়া, শীতের

আছি কিন্তু
বেশি ভালো
থাকলে তুমি
জমতো আলো ধিকি ধিকি দিক

শীতের ঠেলায়
বুঝতে পারি,
জানতে পারি অনেকে নাই ঠিক

তুমি এলে
হৈতে পারতো মনের ঝিকি মিক

আসবে নাকি তুমি?
লটকে থাকা
তোমার লগের তালাক দিয়ে ঐ পুরাতন রুমি।

শীতটা কিন্তু
জমেছে ক্ষীর
এবার খাপে খাপ, ওরে বাপ রে বাপ!

এই বেলাতে
বুকের লগে
বুক মেলালে সকল দুঃখ হবেই হবে. মাপ।

মাংস দুইটা
ফাঁক রাখলে
দিয়া নেব মনের খুশে একটু জোরসে চাপের চাপ।

চাপের চোটে একের ভিতর ঢুকে যাব খুব আনন্দে অন্য,
লাল জুলাইয়ের পরে এবার শীতটা তবে হবেই হবে ধন্য।

কোথায় আছ প্রাক্তন নতুন হৃদয় খুলে আসো,
জোড়ে যেন শুইতে পারি সবুজ শ্যামল ঘাসও।

ঘাসে শোবো
ঘাসে খাব
করবো ঘাসে বাস

তাঁবুর তলে
এই বসন্তে
আমরা করবো খেলাধূলার রঙিন সংসার,
ছেড়ে দিয়ে নিজের ক্ষেতে নিজের পালা ষাঁড়।

কেন্দ্রের কবিতা

ঢাকা ইউনির দিকে
কালো কালো
ছায়া ছায়া
ভয় ভয় ছম ছম হাতছানি;

হল্ট, আইডেন্টি কার্ড দেখাও, তুমি কি বহিরাগত? তবে তুমি অন্য দিকে যাও।
যাও!

সারা পৃথিবী তোমার,
এইটুকু আপাতত আমাদের।
এই ইউনির ছাত্ররা এখন বাংলাদেশের ছায়া সরকার। বাংলাদেশ চালক। ওপেন সিক্রেট।

মধুমাখা
মধু মধু
মধুর ক্যান্টিন, এখন বন্;

আবছায়া নির্জনতা ওখানে এখন, চা পান কইরা করছে নরক ও বেহেশত গুলজার, হাহ হা হা...

কেমন আছেন ওহে,
ওহে,
শাহবাগের চা খানাগণ। কেমন আছেন?

আমরা কি এইবেলা চা করিতে পান, আজিজ মার্কেট যাব?
ঐখানে এখনো নাকি দোতলায় চাখানা রইছে?

রইছে তো!
রইছে
রে

চা ও কফির সহযোগে, ঐখানে এখনো পড়াটড়া চলে। চল তবে যাই।
যাই...

একজন তৃতীয় লিঙ্গের
মহান মানুষ,
ঐখানের দোতলায় চাখানা চালান,
কফি মিলে তার মাটি ছোঁয়া হস্ত মহিমায়।

চলে,
চলে আমাদের মহিমান্বিত ঐ সভ্যচক্রযান।

যা মুখ থুবড়ে পড়ে বারবার। জয়নুল ওকে দেন ঠেলা।
সিসিফাস ওকে উপ্রে উপ্রে আরও উপরে তুলতে থাকেন
তোলো... ও ও আবেদিন, ও ও সিসিফাস...

লালবাগের চিঠি

রাজধানীতে
আইসা গেছি
তোমার কাছে
যাব বলেও হয়নি যাওয়া,

গলা ধাক্কা
লগে লৈয়া
পাইনি এবার
দারোয়ানের মেজাজ খাওয়া।

মনের দুঃখে
ফেরার চেয়ে
একা থাকা
দুঃখে দুঃখে অনেক সুখের

তুমিও তো
কাছে ডেকেও
ফিরিয়ে দাও
খবর পেয়ে নিজের বুকের।

আমার বুকে
ভালোবেসে
অসুখ হৈছে
জীবননাশা হার্টের অসুখ,

আমি এখন
আড্ডা মারি
বসে বসে
ঐ যে ঐনা. ঐ অমৃত লোক।

জানো তুমি
ঐটি হলো
শাহবাগের ঐ
আজিজ মার্কেট দোতলাতে,

ঐখানে তো
আইছো তুমি
মেয়ে লৈয়া
একটি দিনে খাবার খেতে;

ডেকেও ছিলে
আন্তরিকে
হয়তো বা বা
হৃদয় খুলে ঐ খেয়ালে,

যা তুমি বা
গোপন রাখো
না জানিয়ে
না শুনিয়ে ঐ দেয়ালে।

তবু কিন্তু
মিথ্যে হলেও
ধরে নিছি
আছি তোমার মনের কোণে,

তাই বলে আজ
একা একা
সুখেই আছি
মহা সুখে মরণ টোনে।