ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ১২, ২০২৪

ক্যানসার এমন একটি জটিল রোগ যা অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে আর নিঃশব্দে কুরে কুরে খায় মানুষের জীবনীশক্তি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার পর কিছু না কিছু লক্ষণ, শরীরে প্রকাশ পায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্য সাধারণ রোগের উপসর্গের থেকে আলাদা করা যায় না ক্যানসারের লক্ষণ। মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও অনেকেই ধরতে পারে না বিপদ সংকেত।

ঠোঁট, জিব, গাল, তালু, সাইনাস কিংবা গলার ভেতরে ক্যানসারকে ওরাল ক্যানসার বা মুখের ক্যানসার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ধরা পড়লে এটা সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। কিন্তু এই ক্যানসার দ্বিতীয় পর্যাযে পৌঁছে গেলেই এর চিকিৎসা ও নিরাময় খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

 

এমনকি মৃত্যুও হতে পারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কিছু বিষয় নজর পড়লে তৎক্ষণাৎ সতর্ক হওয়া দরকার। যেমন- মুখের ভেতর বা গালের ভেতর সাধারণ ঘা যদি বারবার ফিরে আসতে থাকে। তবে বিষয়টি এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করুন।

প্রতিদিন দাঁত মাজার সঙ্গে সঙ্গে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভালো করে নিজের জিভ পরীক্ষা করুন। মুখের ভেতরে বা, জিভে কোন সাদাটে বা লালচে দাগ নজরে এলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হোন। জিভে থাকা এই সাদাটে প্যাচ লিউকোয়াপ্লেকিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। সময় মতো সাবধান হলে রেহাই পাওয়া যাবে বড় বিপদ থেকে।

জ্বর সর্দি কাশির সময় মুখের ভেতরে এক ধরনের ঘা দেখা যায়। কোন কারণ ছাড়াই এমন ঘা যদি বারবার হয়, তবে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

মুখের ভেতরে কোনও ব্যথাহীন মাংসপিন্ড নজরে এলে সাবধান। অনেক সময় গালে বা গলায় এমন মাংসপিন্ডের অস্তিত্ব চোখে পড়লে বা অনুভূত হলে অবহেলা করবেন না।

ওরাল ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেখা যায় ভুক্তভোগী দীর্ঘদিন ধরে মুখের ঘায়ে ভুগছেন। কোন ঘা ওষুধ লাগানো ও খাওয়ার পরও না সারলে বিষয়টি চিকিৎসকের নজরে আনুন।

সব থেকে বড় বিপদ হল ধুমপান। মুখ ও গলার ক্যানসারের জন্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকারক হল তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য। তামাক এড়িয়ে চলতে পারলে বিপদের সম্ভাবনা ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে যায়।