গাজায় আগ্রাসন বাড়াতে মজুদ ফোর্সকে প্রস্তুত করছে ইজরায়েল

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মে ০৩, ২০২৫

গাজায় চলমান আগ্রাসন বাড়াতে মজুদ বাহিনীকে বড় পরিসরে একসাথে করছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। ইজরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ শুক্রবার এ তথ্য জানায়।

রাফায় ৩৬তম ডিভিশনের আক্রমণ অব্যাহত থাকায় সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় কোনো অগ্রগতি না হলে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী আগামী সপ্তাহে গাজায় তাদের সামরিক প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় আগ্রাসন বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যায় নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বসবে।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে কয়েকজন রিজার্ভ অফিসার তাদের ইউনিটগুলোকে যেকোনো সময় ডাক আসতে পারে বলে প্রস্তুত থাকতে বলেছে। এছাড়া সপ্তাহান্তে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বিবৃতি জারি করে ইঙ্গিত দেয়,  রিজার্ভ মোতায়েন সতর্কতা ও দায়িত্বের সঙ্গে, বস্তুনিষ্ঠ ও পেশাদার বিবেচনার ভিত্তিতে করা হবে।

নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, গাজা থেকে হামাসের অপসারণের অগ্রাধিকার ইজরায়েলি বন্দিদের উদ্ধারের চেয়ে বেশি।  তার এই বিবৃতি গাজায় জিম্মিদের পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দেয়, যারা সরকারকে তাদের মুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে আসছে।

এর আগে ইজরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, “বন্দিদের উদ্ধার করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য নয়।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইজরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এদিন তারা ১২০০ মানুষকে হত্যা করে প্রায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।

হামাসের হামলার প্রতিশোধে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।

দেড় বছরে গাজায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫২ হাজার ৪১৮ জন বেশি এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জনে। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

তবে বিরতির দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। দ্বিতীয় দফার এ আগ্রাসনে ২০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। আহত হয় ৪ হাজারেরও বেশি। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর