চতুর্থ দিনে পাঠকদের আনাগোনা

ওমর সাঈদ

প্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮

বইমেলায় চতুর্থ দিনে খুব বেশি ভিড় না থাকলেও পাঠকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। প্রকাশকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বেচাকেনা খুব বেশি না হলেও তারা হতাশ নয়। ১০/১২ দিন পার হলে কিছুটা জমজমাট হবে মেলা। নতুন বই কিছু কিছু চলে এসেছে, তবে বেশিরভাগ প্রকাশনীর নতুন বই এখন পর্যন্ত আসেনি। আর কয়েকটা দিন গেলেই বইমেলায় পাঠকদের ভিড় বাড়তে থাকবে। এখন খানেকটা ফাঁকা থাকলেও জমে উঠেছে লিটলম্যাগ চত্বর। বাংলা একডেমির বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে লিটলম্যাগ চত্বর তরুণ কবি-সাহিত্যিকদের প্রিয় আড্ডার জায়গা।

মেলার শুরু থেকে আড্ডায় গানে জমে থাকে সারাক্ষণ এই চত্বর। সব শেষে লিটলম্যাগ চত্বরে না গেলে যেন একটা অপূর্ণতা থেকেই যায় সব বয়সী পাঠকদের। কেননা, সাহিত্যের তরুণতম চিন্তার বীজটি এখানেই থাকে।

শিল্পসাহিত্যের ছোট পত্রিকা ‘মারমেইড’ এর সম্পাদক তৌহিদ ইমাম ছাড়পত্রকে বলেন, আগের চাইতে সাহিত্যের ছোট পত্রিকাগুলো সংখ্যায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার লিটলম্যাগ কর্নারে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় একশো ২৫টার মতো স্টল হয়েছে। যা গত বছর ২০১৭ তে ছিল একশোর চেয়েও কম। বাণিজ্যিকভাবে খুব বেশি সফলতা না থাকলেও লিটলম্যাগকে ঘিরে সাধারণ পাঠকের আগ্রহ বাড়ছে।

এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সামনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট জায়গায় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ১২টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। মেলায় একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৩৬টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তিনশো ৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে পাঁচশো ৮৩টি ইউনিট; মোট চারশো ৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে সাতশো ১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫,৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলাতে চতুর্থ দিন পর্যন্ত মোট চারশো ১৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে।