
ফিরছেন খালেদা জিয়া, বিমান বন্দরে কড়া নিরাপত্তা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : মে ০৬, ২০২৫
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ ফ্লাইটটির অবতরণ করার কথা রয়েছে। এ উপলক্ষে বিমানবন্দর থেকে খালেদার গুলশানের বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত রয়েছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা।
এর পাশাপাশি বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের জন্যও জারি করা হয়েছে কড়া নির্দেশনা। সকাল থেকে সড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি রয়েছে। সাদা-পোশাকে বিপুল-সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। সড়কে থাকা গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে।
র্যাবের পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনীর গাড়ি। সেনা সদস্যরা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের সড়কে অবস্থান করা গাড়ি সরিয়ে দিচ্ছে। এতে কমছে যানজট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিএমপির পক্ষে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু নির্দেশনা।
আজ সকাল বিমানবন্দর সড়কের গণপরিবহনকে কোনোরকম জটলা করতে দিচ্ছে না সেনা সদস্যরা। প্রতিটি গাড়িকে অযথা সড়কে না থাকতে সতর্ক করছে তারা। রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। গাড়ি তল্লাশির পাশাপাশি অবৈধভাবে গাড়ি রাখলেই করা হচ্ছে মামলা-জরিমানা। রয়েছে র্যাবের গাড়িও। পাশাপাশি সড়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে সড়কে ছিটানো হয়েছে পানি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে ডিএমপি। ডিএমপি জানিয়েছে, পুলিশের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্যদেরও মোতায়েন করা হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষসভা। সভায় র্যাব ও এসবি প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিল।
এর আগে সকালে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় বিষয়টি উঠে আসে। সভা থেকে খালেদা-জুবাইদার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, “বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার যাত্রাপথে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। এছাড়া নেতাকর্মীদের জন্যও জারি করা হয়েছে কড়া নির্দেশনা। কেউ যেন বিমানবন্দর বা চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ না করে। নেতাকর্মীদের জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাতে বলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার গাড়ির সঙ্গে মোটরসাইকেল ও হেঁটে চলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।”
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুভমেন্ট চলাকালীন গাড়িবহরে অননুমোদিত গাড়িযুক্ত না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলো। এয়ারপোর্টে আগত অভ্যর্থনাকারীদের যানবাহন ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টিজের খালি জায়গায় পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হলো।