
বেলুচিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রী অপহরণ, পরে হত্যা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুলাই ১১, ২০২৫
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের উত্তরাঞ্চলের ঝোব শহরের কাছে ৯ বাসযাত্রীকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার প্রাদেশিক কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন।
কোয়েটা থেকে লাহোরগামী একটি বাসকে সশস্ত্র হামলাকারীরা থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং নির্দিষ্টভাবে ৯ জনকে আলাদা করে গুলি করে হত্যা করে।
ঝোবের সহকারী কমিশনার নবিদ আলম বলেন, “হামলাকারীরা যাত্রীদের অপহরণের পর একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গুলি চালায়। নিহতদের মরদেহ বেলুচিস্তানের বারখান জেলার রেক্নি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ এই নৃশংস হামলাকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলে অভিহিত করে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীরা বাস থামিয়ে যাত্রীদের জোর করে নামায়, শনাক্ত করে এবং নির্মমভাবে ৯ নিরীহ পাকিস্তানিকে হত্যা করে।”
তিনি আরও বলেন, “অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে হামলাকারীরা অন্ধকারের সুযোগে পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে এলাকাজুড়ে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মির সরফরাজ বুগতি এই বর্বর হত্যাকাণ্ডকে মর্যাদাহীন সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “এটি ফিতনা-ই-হিন্দুস্তান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোর কাজ এবং এটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে নিরীহ সাধারণ নাগরিকদের পাকিস্তানি পরিচয়ের ভিত্তিতে লক্ষ্য করে হত্যা করেছে। এটি একটি ক্ষমাহীন অপরাধ। এই সন্ত্রাসীদের জঘন্য স্বভাব আবারও স্পষ্ট হলো। নিরীহদের রক্ত বৃথা যাবে না। আমাদের প্রতিক্রিয়া কঠিন, স্পষ্ট ও চূড়ান্ত হবে।”
তিনি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ধ্বংস করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “আমরা ফিতনা-ই-হিন্দুস্তানের প্রতিটি ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে দেব পূর্ণ শক্তি ও ঐক্য নিয়ে।” সূত্র: জিও নিউজ