রোজা রেখে পানিশূন্যতা দূর করার উপায়

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : মার্চ ১৯, ২০২৪

ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে বসন্ত। এখন দিন গড়িয়ে যত সামনের দিকে যেতে থাকবে, ততই তাপমাত্রা তীব্র হতে থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই এখন দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি। আর এ সময় শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস।

এ সময় সেহরিতে খাবার খেয়ে সেই সন্ধ্যায় মাগরিব পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের। মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য রোজা রাখেন তারা। তবে দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সেহরি ও ইফতারে খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা জরুরি। এছাড়া পানিশূন্যতার ভয়তো রয়েছেই।

বিশ্বজুড়ে অঞ্চলভেদে প্রায় ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মতো না খেয়ে থাকতে হয় রোজাদারদের। এ জন্য পানিশূন্যতার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে যারা কর্মজীবী। রোজা রেখে গরমের সময় কাজ করলে বা বেশি ঘামলে শরীর থেকে লবণ ও পানির স্বল্পতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ থেকে মাথাব্যথা, মাথা ঝিমঝিম, গায়ে ব্যথাসহ নানা সমস্যা হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে পড়েন। তবে রোজায় পানি শূন্যতা এড়াতে সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী কনসালট্যান্ট ডা. তাসনোভা মাহিন। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।

এ চিকিৎসকের ভাষ্যমতে, রোজা রেখে পানিশূন্যতা এড়াতে সন্ধ্যায় ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই লিটার পরিমাণ পানি পান করতে হবে। যদি বেশি ঘাম হয় বা দীর্ঘ সময় গরমে কাজ করতে হয়, তাহলে ইফতারের পর পানির পরিবর্তে ওরস্যালাইন পান করতে পারেন। ইফতারে ভাজাপোড়া বা ভারী খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

অধিক গরমে যেমন রান্না ঘরে বা শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষেত্রে প্রতি এক থেকে দুই ঘণ্টা পরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মতো ছায়ায় বিশ্রাম নেয়া উচিত। সাহরিতে যদি কিছু না খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে সাহরিতে ভারী খাবারের বদলে পানি বা তরলজাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। এতে পানিশূন্যতার ঝুঁকি অনেক কমবে।

রোজা রাখা অবস্থায় যদি কারও বমি বা পাতলা পায়খানা হয়, তাহলে রোজা ভেঙে খাবার স্যালাইন খাওয়া ভালো। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যার কারণে ওষুধ খান, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের ডোজ ও খাওয়ার সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে। এছাড়া পানিশূন্যতা নিয়ে বেশি সমস্যা হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।