ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন মনি কিশোর, তার ইচ্ছেতেই দাফন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ২১, ২০২৪
ঢাকার রামপুরা টেলিভিশন ভবনের পাশের ভাড়া বাসায় একা থাকতেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। শনিবার রাতে বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ কর্মকর্তারা।
মৃত্যুর প্রায় একদিন পার হতে চললেও এখনো মরদেহের শেষ কার্যক্রম সমাপ্ত হয়নি। মৃত্যুর আগে মনি তার মেয়ে নিন্তিকে জানিয়ে গেছেন, তার মরদেহ কী করতে হবে।
রোববার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি জানান মনি কিশোরের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা অশোক কুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, “মনি কিশোর তার পোশাকি নাম। প্রকৃত নাম অরুণ কুমার মণ্ডল।”
তিনি আরও বলেন, “নব্বই দশকের শুরুর দিকে বিয়ে করেন মনি কিশোর। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্যজীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন মনি। সেই হিসেবে তার মরদেহ দাফন করা হবে।”
মনি কিশোরের বড় ভাই আরও বলেন, “জীবিত অবস্থায় দাফনের বিষয়টি একমাত্র মেয়ে নিন্তিকে মনি জানিয়েছিল। নিন্তি জানিয়েছে, তার বাবাকে যেন দাফন করা হয়। ওর বাবা এটা নাকি বলে গিয়েছিল। যেহেতু মেয়েকে বলে গিয়েছে, এজন্য তার ইচ্ছামতোই দাফনের কাজ করা হবে। এ নিয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে যাব না আমরা।”
উল্লেখ্য, নব্বই দশকের শুরুতে ‘চার্মিং বউ’ অ্যালবামের ‘কী ছিলে আমার’ শিরোনামের একটি গান মনি কিশোর দেশজুড়ে ব্যাপক পরিচিত পান। সেই সময় প্রায় সবার মুখে মুখে ছিল এই গানটি। এরপর একে একে ৩০টিরও বেশি একক অ্যালবাম করেন এই গুণী শিল্পী।
পাঁচশোর বেশি গানে কণ্ঠ দেওয়া মনি কিশোরের জনপ্রিয় গানগুলো হচ্ছে: কী ছিলে আমার, সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার, তুমি শুধু আমারই জন্য, মুখে বলো ভালোবাসি, আমি মরে গেলে জানি তুমি।
নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপুরে মামাবাড়িতে ১৯৫৮ সালে জন্ম মনি কিশোরের। পুলিশ কর্মকর্তা বাবা অনিল কুমার মণ্ডলের ছেলে অরুণ কুমার মণ্ডল ছিলেন কিশোর কুমারের ভক্ত। ডাকনাম ছিল মনি। কিশোর কুমারের ভক্ত ছিলেন বলে নামের সঙ্গে ‘কিশোর’ জুড়ে নিয়েছিলেন।