
কাজী জহিরুল ইসলামের আত্মগদ্য ‘আমার বিচিত্র জীবন’
পর্ব ১৩
প্রকাশিত : জুলাই ০৪, ২০২৫
মধ্য বাড্ডায়, গুদারাঘাটের কাছে, ডাক্তার জিয়াউদ্দিন সাহেবের বাড়ি। ইটের দেয়ালঘেরা এল শেইপ টিনশেড ঘর, ঘরের সামনে ফুলের বাগান। দুটি বেশ বড়ো ইউকেলিপটাস গাছ জমজ দুই ভাইয়ের মত পরস্পর জড়াজড়ি করে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝে মাঝে উঁকি দিয়ে ওরা আকাশের মেঘ ছুঁতে চাইছে। ইউকেলিপটাসের ডালে বসে কোকিল ডাকছে। গ্রামে আমি কোকিলের ডাকের মধ্যে বিরহ শুনেছি কিন্তু জিয়াউদ্দিনের কোকিল মিলনের সুরে ডাকছে। একটি নয়, দুটি কোকিল পাশাপাশি বসে আছে। এর আগে আমি কখনো জোড়া কোকিল দেখিনি।
বড় টিনশেডের সঙ্গে লাগানো একটি ছোট্ট এক্সটেনশন, যেটির ওপরে একচালা টিনের চাল। একদিকের দেয়াল তো মূল ঘরের দেয়াল দিয়েই তৈরি হয়ে গেছে, অন্য তিনদিকের দেয়ালের নিচের অর্ধেকটা ইটের, ওপরের অর্ধেকাংশে বাঁশের বেড়া। এটি হলো ডাক্তার জিয়ার বৈঠকখানা। জিয়াউদ্দিন সাহেব নিজের নাম রেখেছেন রামবুদ্ধু, এই বৈঠকখানাকে তিনি বলেন, রামবুদ্ধুর বৈঠকখানা। এই নামে তিনি একটা ধারাবাহিক রম্য রচনাও লিখতে শুরু করেন।
রামবুদ্ধুর বৈঠকখানায় বাড্ডার সুশীল সমাজের মানুষেরা আড্ডা দিতে আসেন। এখানে গিয়ে বাড্ডার কিছু আলোকিত মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। যাদের দেখা পেয়েছি তাদের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিই। কালো, লম্বা, মফিজ উদ্দিন সাহেব পরবর্তীতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা বের হলে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন, তার উপ-সম্পাদকীয় কলাম `লাল কার্পেট` বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। মোটাসোটা, দন্তবিহীন মহাতাবউদ্দিন আহমদ ভুল ছন্দে কবিতা লিখতেন, যদিও তিনি তা স্বীকার করতেন না, তিনি বলতেন, এটা মহাতাবীয় ছন্দ।
তার কবিতায় রগরগে যৌনতা থাকত, খোলামেলা নারীদেহের বর্ণনা থাকত। তিনি ৪টি বিয়ে করেছিলেন, এর মধ্যে একজন সনাতন ধর্মের মেয়ে, এইসব কথা তিনি বেশ গর্ব করেই বলতেন। বাড্ডার ময়নার টেকে বাড়ি করে দুই স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ফর্মস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের একজন গেজেটেড অফিসার এবং আমিনুল হক আনওয়ারের বস। কিন্তু এই বৈঠকখানায় কেউ কারো বস না, কেউ কারো চেয়ে বয়সে বড়ো না, এখানে সবাই সমান এবং এখানে ঢোকার পর সকলেই বুদ্ধু, কেউ পণ্ডিত নন। কাজেই বয়স, শিক্ষা নির্বিশেষে সকলেই সকলের ভুল ধরতে পারেন, সকলেই সকলকে শেখাতে পারেন। যদিও শেখানোর চেয়ে সকলের মধ্যে শেখার আগ্রহই প্রবল।
ডাক্তার জিয়া ষাটোর্ধ শুশ্রুমণ্ডিত মানুষ কিন্তু যখন আমার মত তরুণের সঙ্গে কথা বলেন তার বিনয় দেখে লজ্জা পাই। তিনি নিজেই আমাদের জন্য বাড়ির ভেতর থেকে ট্রে ভর্তি করে চা নিয়ে আসেন, বিস্কুট নিয়ে আসেন। একদিন এক হ্যাংলা পাতলা মিশমিশে কালো কিশোরকে দেখি, ওর নাম আলাউদ্দিন, অসম্ভব মিষ্টি গানের গলা। সবাই বলাবলি করত এই ছেলে একদিন খুব বড়ো শিল্পী হবে। আলাউদ্দিন আহমদ পরবর্তীতে ছায়ানটের গ্রাজুয়েট হয় এবং একজন পরিপূর্ণ শিল্পী হয়ে ওঠে। মুনীর হাসান চৌধুরী তাঁরা ভালো কবিতা লিখতেন, পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে যুক্ত হন এবং দীর্ঘদিন আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কাজ করেন, পরে তারই সহযোগিতায় হুমায়ূন আহমদ নাটক-সিনেমা বানাতে শুরু করেন।
সাইদুর রহমান কামরুজ ছিলেন বাড্ডার যুবনেতা, একজন তরুণ আইনজীবী, তিনি ভালো গল্প লিখতেন, `অসময়ের ট্রেন` নামে তার একটি গল্পের বইও বেরিয়েছিল। লেখালেখিতে লেগে থাকলে বড়ো কথাসাহিত্যিক হতে পারতেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক নিউ নেশনের সার্কুলেশন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু বেশিদিন সেই চাকরি তিনি করেননি।
জয়নুল আবেদীনকে সবাই বলত মোহিত লাল মজুমদার। তিনি সাহিত্যের একজন তুখোড় সমালোচক ছিলেন। নিজে কিছুই লিখতেন না কিন্তু পড়তেন প্রচুর। গুলশানে তার ফার্নিচারের দোকান ছিল, আমাদের মধ্যে তিনি বেশ বিত্তশালী ছিলেন।
ভালো কথা, যাদের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি তারা সবাই একটি সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেই সংগঠনের নাম কবি জসীম উদদীন পরিষদ। রামবুদ্ধুর বৈঠকখানাতেই পরিষদের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম সংগঠিত হত, যদিও আমাদের পাক্ষিক সাহিত্যসভাগুলো হত একটু দূরে, সবুজসেনা কিন্ডারগার্টেনের একটি ঘরে। সেই স্কুলের মালিক ছিলেন কামরুজ ভাইয়ের ছোটো ভাই কায়েস।
কবি জসীম উদদীন পরিষদ প্রতীষ্ঠা করেন এস এম রাহী। ফরিদপুরের এই ভদ্রলোক কবি জসীম উদদীনকে ভীষণ ওন করতেন এবং তাকে জাতীয়ভাবে প্রতীষ্ঠা করা, তার প্রতি জাতীয় গুরুত্ব তৈরি করা এইসব নিয়ে সারাক্ষণ ভাবতেন। সেই ভাবনা থেকেই বাড্ডায় তৈরি হয় কবি জসীম উদদীন পরিষদ। রাহী সাহেব ছিলেন কামরুজ ভাইয়ের খালু, সেই সুবাদে জিয়াউদ্দিন সাহেবকেও কামরুজ ভাই খালুজান ডাকতেন। আমি কাকে কী ডাকবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কামরুজ ভাইকেই অনুসরণ করতে শুরু করি, তিনি যাকে যা ডাকেন আমিও তাকে তাই ডাকতে শুরু করি। তবে সামনা-সামনি কামরুজ ভাইয়ের মত আমিনুল হক আনওয়ারকে কখনোই হক সাহেব বলিনি, মন থেকে তো তাকে গুরুর আসনে বসিয়েছি, তাকে এমন কিছু সম্বোধন করতে চাই না যাতে তার অসম্মান হয়। তার সঙ্গে কথা বলতাম ভাববাচ্যে, কোনো কিছু সম্বোধন না করে।
রামবুদ্ধুর বৈঠকখানায় মাঝে মাঝে পাশের বাড়ির এক সুদর্শন যুবক আসতেন। খুব হাসিখুশি এবং অমায়িক ব্যবহার যুবকের। জিয়াউদ্দিন সাহেব যাকে পেতেন তার হাতেই কলম ধরিয়ে দিতেন কিন্তু এই যুবককে দিয়ে কিছুই লেখাতে পারেননি। লেখাতে না পারলেও তাকে রাজনীতিতে ঢুকিয়ে দেন। জিয়াউদ্দিন সাহেব খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক লীগ করতেন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করলে বিএনপিতে যোগ দেন। তবে রাজনীতি নিয়ে তার কোনো উচ্চাশা ছিল না। এরশাদের পুরো শাসনামলে তিনি গুলশান থানা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তখনকার গুলশান থানা কিন্তু অনেক বড়ো ছিল, বাড্ডা, উত্তরা, কাফরুল এগুলো সব গুলশান থানার অধীনে ছিল। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করলেন কিন্তু ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
বলেন, ক্ষমতার রাজনীতি আমার জন্য না। তিনি যতদিন সভাপতি ছিলেন সেই প্রতিবেশি যুবককে সেক্রেটারি করে রেখেছিলেন এবং তাকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতীষ্ঠা করার জন্য সব সময় নিজে পেছনে থেকে তাকে সামনে ঠেলে দিতেন। সেই যুবকের নাম এম এ কাইয়ুম। এখন তিনি বিএনপির অনেক বড়ো নেতা। শুনেছি ঢাকার অনেকটাই নাকি এখন তার নিয়ন্ত্রণে। খালেদা জিয়া যতবার বাড্ডায় এসেছেন, তার গাড়িতে, পাশের সিটে, জিয়াউদ্দিন সাহেবই বসতেন। আমরা খালুজানকে ক্ষেপানোর জন্য বলতাম, বিষয় কী, ম্যাডাম শুধু আপনাকেই পাশে বসায় কেন? তিনি বুঝতেন আমরা কী ধরণের রসিকতা করছি। একটা হাসি দিয়ে বলতেন, `নামের প্রভাব হয়ত`। শুনেছি তাকে দু`বার প্রতিমন্ত্রী হতে বলা হয়েছিল, তিনি বিনয়ের সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জিয়াউদ্দিন সাহেব আমৃত্যু খুব সাদামাটা জীবন-যাপন করেছেন। ৭৮ বছর বয়সে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। আমি নিজেই সাক্ষী, একই দিনে থানা বিএনপির সভা এবং কবি জসীম উদদীন পরিষদের সাহিত্যসভা পড়ল। তিনি কাইয়ুম ভাইকে ডেকে বলেন, কাইয়ুম তুমি ম্যানেজ করে নাও, আমি পরিষদের সভা ফেলে তো যেতে পারি না। অথচ তিনি থানা কমিটির সভাপতি। আমরা অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালে তিনি বলেন, বাদ দেও তো। আমি তো ছেড়েই দিতেই চাই, সাহিত্যের চেয়ে কি রাজনীতি বড়ো? আমারে হেরা ছাড়ে না আমি কী করুম, এইভাবে ছোটা যায় কী-না দেখি না।
কাইয়ুম ভাই কিন্তু আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। আমি তার চেয়ে বয়সে অল্প ছোটো হলেও কবি হিসেবে অন্যরকম একটা সম্মান করতেন এবং কখনোই আমাকে কবি ছাড়া অন্য কোনো সম্বোধনে ডাকেননি। ২০০৭ সালে ফখরুদ্দিন আহমদের তত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হলে প্রথম যে ৫০ জনের তালিকা করা হয় গ্রেফতার করার জন্য তাদের মধ্যে কাইয়ুম ভাইয়ের নাম দেখে অবাক হয়েছি। বাড্ডার অনেক বন্ধুর মুখেই কাইয়ুম ভাই সম্পর্কে খারাপ কথা শুনেছি কিন্তু আমি এইসব বিশ্বাস করতে পারি না। এমন অমায়িক একজন মানুষ কী করে এইসব করেন। যাকে কোনো দিন কণ্ঠ চড়িয়ে কথা বলতে শুনিনি, মুরুব্বীদের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে দেখিনি, সেই মানুষ কী করে এইসব করবেন! কিছু মানুষের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস থাকে না মানুষের? কাইয়ুম ভাই আমার সেইরকম একটা অন্ধ বিশ্বাসের জায়গা।
আমার সব সময় মনে হয় আমি যদি আগামীকাল কাইয়ুম ভাইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বলি, কাইয়ুম ভাই, মানুষ যা বলে এইসব কি ঠিক? তিনি একটা হাসি দিয়ে বলবেন, কবি তুমিও এইসব বিশ্বাস করো, তুমি আমাকে চেনো না?
কাইয়ুম ভাই, আমি আপনাকে চিনি। আমি একটি সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। কদিন পরে আপনি ঢাকা উত্তরের মেয়র হবেন অথবা মন্ত্রী হবেন, আমি যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি আপনি আমাকে সেই বাংলাদেশ উপহার দেবেন, এই স্বপ্নই তো আমরা একসঙ্গে দেখেছিলাম রামবুদ্ধুর বৈঠকখানায় বসে।
একই বয়সের আরো চার যুবক আসতেন রামবুদ্ধুর বৈঠকখানায়, তারা হলেন কবি সাঈদ আখন্দ, মুহাম্মদ ইউসুফ, গোলাম মোস্তফা তাপস, মুস্তফা ফারুক। সাঈদ আখন্দ শুদ্ধ অক্ষরবৃত্ত ছন্দে কবিতা লিখতে পারতেন, তিনিও আমার মত আমিনুল হক আনওয়ারকে গুরু মানতেন। গোপীবাগে তার একটি প্রেস ছিল, সুপার প্রিন্টার্স, জসীম উদদীন পরিষদের সব কাজ সেই প্রেস থেকেই হত, কখনো টাকা দিয়ে, কখনো বাকিতে, আবার কখনো ফ্রি। কয়েক বছর আগে সাঈদ আখন্দ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। মুহাম্মদ ইউসুফ অসম্ভব মেধাবী ছিলেন, তিনি নিজে মেট্রিক পাশ হয়েও বিএসসির ছাত্র-ছাত্রীদের অংক শেখাতেন। অতি মেধাবী হবার কারণে অল্প বয়সেই তার মাথার তার ছিঁড়ে যায়।
পরিষদের আরেক সদস্য বিলকিসকে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু সংসার টেকেনি। বিলকিসের আব্বা ছিলেন ভেটেনারি সার্জন, ইউসুফের আব্বা ছিলেন এমবিবিএস ডাক্তার। দুজন যখন ঝগড়া করতেন তখন বিলকিস ভাবী বলতেন আমার আব্বাও ডাক্তার, ইউসুফ ভাই তখন তার শ্বশুরকে পশুর ডাক্তার বলে ছোটো করতেন। এইসব ঝগড়া আমরা বহুবার মেটানোর চেষ্টা করেছি। ইউসুফ ভাইও কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। মুস্তফা ফারুক বাংলাদেশ টেলিভিশনে দীর্ঘদিন চাকরি করে এখন অবসরে গেছেন, তিনিও ভালো গল্প লিখতেন। পরে টিভি নাটকের নির্দেশনা দিতে শুরু করেন। প্যাকেজে ক্যামেরা-শিল্পী হিসেবেও বেশ কিছু কাজ করেন। গোলাম মোস্তফা তাপস এক পর্যায়ে খুব ধর্মানুরাগী হয়ে পড়েন। মাঝে মধ্যে কবিতা লিখতেন। এখন তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, জানি না। তাদের পৈত্রিক বাড়ি মগবাজারে, তাদের বাড়িতেই ঢাকার প্রথম চায়নিজ রেস্তোরা চাং পাই গড়ে ওঠে।
কিছুকাল পরে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয় আমাদেরই স্কুলের দুই বন্ধু শামসুজ্জামান রিজভী এবং আহসান হাবীব পিয়াল। দুজনই ভালো কবিতা লিখত। পিয়াল গাঁজা খেতে খেতে পাগল হয়ে যায়। রিজভী ডলি সায়ন্তনীকে বিয়ে করে গীতিকার হয়, তখন তার নাম হয়ে যায় আহমেদ রিজভী।
আরো পরে যুক্ত হয় অনিমেষ বড়াল, দুলাল খান, কবীর হোসেন। অনিমেষ বড়াল আনসার ভিডিপির পত্রিকা `প্রতিরোধ`-এ দীর্ঘদিন চাকরি করে অবসরে যান, দুলাল খান এখনো সাংবাদিকতা করেন, কবীর হোসেন কবিতা লেখেন এবং ঢাকাস্থ জাতিসংঘ অফিসের কোনো একটি প্রকল্পে কাজ করেন। এই ধারাবাহিকতায় জসীম উদদীন পরিষদে আরো অনেকেই যুক্ত হয়েছেন, আস্তে আস্তে তাদের কথাও বলব। চলবে