‘কমান্ডো’ মুভিতে ইসলামের বিকৃত উপস্থাপনা
মনির আহমেদপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
কালেমার পতাকা শ্রদ্ধার, সম্মানের, গর্বের, শান্তির। এ পতাকার বিজয়ের জন্য স্বয়ং প্রিয়নবি যুদ্ধ করেছেন, রক্ত ঝড়িয়েছেন, বহু সাহাবায়ে কেরাম জীবন বিলিয়েছেন। এটি দীন ইসলামের অবিচ্ছদ্য প্রতীক। এই পতাকার অবমাননা কোনো মুসলিমের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
আল্লাহর মনোনিত একমাত্র জীবনব্যবস্থা ইসলামের পতাকাকে সন্ত্রাসের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাওয়া কলকাতার অভিনেতা দেব অভিনিত `কমান্ডো` মুভিতে। এ মুভিতে কোন বাংলাদেশকে দেখানো হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই।
সদ্য প্রকাশিত মুভির টিজারে দেখানো হয়েছে, সারা বাংলাদেশ ছেয়ে গেছে সন্ত্রাসীতে। আর সন্ত্রাসীদের দেখানো হয়েছে দাড়ি, টুপি ও পাগড়ি মাথায়। তাদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে কালেমার ফ্লাগ, শ্লোগান হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে `নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবার`, আর তাদের কাজকে বোঝানো হয়েছে জিহাদ।
দেব এসে কালেমার পতাকাধারীদের নির্মূল করে। এরকম কাল্পনিক চিত্রে ইসলামফোবিয়া ছড়ানোর পাশাপাশি বহির্বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ব্যাপারে কী বার্তা দেয়া হচ্ছে! এ রকম মুভির তৈরি ও চিত্রধারণের উদ্দেশ্য কী? এটা কী ইসলাম অবমাননা নয়? যারা বাংলাদেশে এই মুভি প্রচার করতে চায় তাদেরকে বলবো, আপনারা পারলে ভারতে যেয়ে হিন্দু ধর্মের প্রতীকগুলোকে এভাবে আক্রমণ করে সন্ত্রাসী আর এসএস বিরোধী মুভি তৈরি করুন। দেখেন তো পারেন কিনা!
কিন্তু তা আপনারা করতে যাবেন না, জানি! তাহলে বাংলাদেশে এসে ইসলাম অবমাননার হেতু কী? আর আমাদের মুসলিমদের উচিত, কালেমার পতাকা যে ইসলামে অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এর চেতনা ধারণ করা যে অপরিহার্য দায়িত্ব, তা ব্যাপকভাবে তুলে ধরা ও প্রচার করা। এর বিজয়ের জন্য যুগে যুগে মুসলিম কিংবদন্তিদের স্বর্ণালী উপাখ্যান সামনে আনাও এখন সময়ের দাবি।
আশা করবো, বাংলাদেশ সরকার ফারুকীর হলি আর্টিজেন মুভির মতো কমান্ডো মুভিরও মুক্তির অনুমতি না দিয়ে প্রজ্ঞার পরিচয় দেবে।
























