
গাজা ছাড়বে না ফিলিস্তিনিরা: জাতিসংঘ দূতের
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
ফিলিস্তিনিরা গাজা ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর।
রিয়াদ মানসুর বলেন, “বিশ্ব নেতাদের ফিলিস্তিনিদের গাজায় থাকার ইচ্ছাকে সম্মান করা উচিত। আমাদের মাতৃভূমি আমাদের। যদি এর একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়, যেমন গাজা, এরপরও ফিলিস্তিনি জনগণ সেখানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমি মনে করি, নেতৃবৃন্দ ও বিশ্ববাসীর উচিত ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান জানানো।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশ, আমাদের বাড়ি গাজা স্ট্রিপ, এটি ফিলিস্তিনের অংশ, আমাদের আর কোনো বাড়ি নেই। যারা আমাদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের উচিত ইজরায়েলের ভেতরে আমাদের নিজেদের আসল বাড়িতে ফিরতে দেওয়া। সেখানে সুন্দর জায়গা আছে, এবং আমরা খুশি মনে সেসব স্থানে ফিরে যাব।”
রিয়াদ মানসুর বলেন, “কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৪ লাখ ফিলিস্তিনি হাঁটতে হাঁটতে গাজার উত্তর অংশে ফিরে গেছে। আমাদের উচিত, ফিলিস্তিনি জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করা। শেষ পর্যন্ত তারাই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।”
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি, ফিলিস্তিনিদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। যেখানে ইজরায়েলি অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে।”
ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখল করবে। ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরিয়ে নিয়ে সেখানে পুনর্গঠন চালাবে। পরে তা বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইজরায়েলে ১,২১০ জন নিহত হন। এর জবাবে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৪৭ হাজার ৫১৮ জন নিহত হয়েছে, যার বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ।
ইজরায়েলের অভিযানে গাজার ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রায় ১৯ লাখ, বাস্তুহারা হয়েছে। বিমান হামলায় স্কুল ও হাসপাতালসহ নাগরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পর ধ্বস্তূপ থেকে প্রায় প্রতিদিনই মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর বহু ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করে, যদিও অনেকের বাড়িঘর আগের অবস্থায় নেই। সূত্র: আরব নিউজ