সাবেক আইজিপি মামুন ডিভিশন–২ এর সুবিধা পাবেন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ১৯, ২০২৫
পাঁচ বছরের দণ্ড পাওয়া রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এখন গাজীপুরের বিশেষ কারাগারে রয়েছেন। দণ্ড পাওয়ার কারণে কারাবিধি মোতাবেক কারাগারে তার ডিভিশন–১ এর সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে। এখন তিনি ডিভিশন–২ এর সুবিধা পাবেন। কিন্তু তাকে কয়েদির পোশাক পরতে হবে।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, “ডিভিশন–১ এর থাকা কোনো বন্দির সাজা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাকে ডিভিশন–২ এর আওতায় নিতে হয়। সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির পুনরায় ডিভিশন–১ এর সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।”
সাবেক আইজিপি মামুন এখন তার ডিভিশন সুবিধা বলবৎ থাকার ব্যাপারে আবেদন করতে পারেন। এতে সরকার অনুমোদন দিলে তিনি ডিভিশন–২ এর সুবিধা পাবেন। আর অনুমোদন না দিলে সাধারণ কয়েদি হিসেবে থাকতে হবে।
কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিচারাধীন মামলায় কারাবন্দিদের সামাজিক সম্মান ও মর্যাদার ভিত্তিতে ডিভিশন সুবিধা দেওয়া হয়।
কারাবিধি অনুযায়ী ৩ ধরনের ডিভিশন থাকে। ডিভিশন–১, ডিভিশন–২, ডিভিশন–৩। সরকার কর্তৃক প্রকাশিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের ১ থেকে ১৮ নম্বর পর্যন্ত অবস্থানে থাকা সাবেক ব্যক্তিরা প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে ডিভিশন পান।
এছাড়া বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তি, সিআইপি, স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, প্রফেসর অব ইমিরেটাস নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা ডিভিশন–১ পান।
সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও অভ্যাসের কারণে জীবন যাপনের ধরন বিবেচনা করে অন্য উচ্চ মানের বন্দিদের ডিভিশন–২ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে দেড়শোর বেশি মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশের ২৯তম মহাপরিদর্শক ছিলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ১৯৮২ সালে বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন তিনি। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
























