ভারতের ইসলামবিদ্বেষ নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক করল পাকিস্তান
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ২৬, ২০২৫
অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের জায়গায় নির্মিত রাম মন্দিরে পতাকা উত্তোলন নিয়ে পাকিস্তান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির হুসেইন আন্দ্রাবি বলেন, “এটি ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চাপ সৃষ্টির বিস্তৃত প্রবণতা এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদী হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শের প্রভাবে মুসলিম ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার প্রতিফলন।”
তিনি আরও বলেন, “নানা ঐতিহাসিক মসজিদ এখন অপবিত্র করা বা ভেঙে ফেলার হুমকির মুখে রয়েছে। আর ভারতীয় মুসলিমরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্রমবর্ধমান প্রান্তিকায়নের শিকার হচ্ছে।”
পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভারতের বাড়তে থাকা ইসলামোফোবিয়া, ঘৃণামূলক বক্তব্য ও ঘৃণাপ্রসূত হামলার বিষয়ে সচেতন হতে বিবৃতিতে আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উদ্দেশ্যে আন্দ্রাবি বলেন, “ইসলামি ঐতিহ্য সুরক্ষায় এবং সকল সংখ্যালঘুর ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অধিকারের নিরাপত্তায় তাদের গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান ভারতের সরকারকে আহ্বান জানায়, তারা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতার আলোকে মুসলিমসহ সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং তাদের উপাসনালয়গুলো রক্ষা করবে।”
বাবরি মসজিদ শতাব্দী প্রাচীন উপাসনালয়। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর এই মসজিদ ধ্বংস করে উগ্রবাদী জনতা। ভারতের পরবর্তী বিচারিক প্রক্রিয়ায় দায়ীদের খালাস দেওয়া হয়। ভাঙা মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। এই অবস্থান ভারতের রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের পরিচায়ক বলে পাকিস্তান মন্তব্য করেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘পবিত্র অনুষ্ঠানে’ ওই ‘মন্দিরের’ শীর্ষে একটি গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেছেন, যা এর নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার সংকেত বহন করে। সূত্র: ডন নিউজ
























