কথাসাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরীর আজ জন্মদিন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫
কথাসাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরীর আজ জন্মদিন। ১৮২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরে তার জন্ম। পিতা মহেশচন্দ্র চৌধুরী ও মাতা দুর্গাসুন্দরী দেবী।
খড়গপুরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি কলকাতায় উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য প্রেসিছাত্রজীবন থেকেই রমাপদ লেখা লেখি শুরু করলেও, বন্ধুদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে মাত্র ২৫ বছর বয়সে প্রথম ছোটগল্প লেখেন। জীবনের প্রথম গল্প `উদয়াস্ত` প্রকাশিত হয় যুগান্তর পত্রিকায়।
এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এম.এ পাস করে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকায় যোগ দেন। কর্মজীবনে কালক্রমে তিনি ওই পত্রিকার সহযোগী সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং পত্রিকার রবিবারের ক্রোড়পত্র `রবিবাসরীয়` বিভাগের সম্পাদক হন।
পাশাপাশি চলতে থাকে তার নিজস্ব সাহিত্য চর্চা। ১৯৫৪ সালে প্রথম উপন্যাস `প্রথম প্রহর` প্রকাশ পায়। ষাটের দশকে দেশ পত্রিকায় তার উপন্যাস `বনপলাশীর পদাবলী` পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয়। ফলে তিনি পাঠক সমাজে পরিচিত মুখ হয়ে পড়েন।
তিনি ১৯৬৩ সালে আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭১ সালে `এখনই` উপন্যাসের জন্য রমাপদ চৌধুরীকে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। `বাড়ি বদলে যায়` উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৮৮ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
সাহিত্য জীবনে তিনি পঞ্চাশটির ওপরে উপন্যাস রচনা করেন। এছাড়া দেশ পত্রিকার গল্প সংকলনও দক্ষতার সঙ্গে সম্পাদনা করেন। ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মারক আন্তর্জাতিক পুরস্কার চালু করলে প্রথম বছর `বনপলাশী পদাবলী` উপন্যাসের জন্য রমাপদ চৌধুরীকে ওই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
রমাপদ চৌধুরীর জীবনের ওপর একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে সাহিত্য অকাদেমি। ছবিটির পরিচালক রাজা মিত্র। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই তিনি মারা যান।
রমাপদ চৌধুরীর বইগুলো হচ্ছে: প্রথম প্রহর, লালবাঈ, অন্বেষণ, দ্বীপের নাম টিয়ারঙ, অরণ্য আদিম, এই পৃথিবীর পান্থনিবাস, আলো-আঁধার, বনপলাশীর পদাবলী, আরও একজন, পরাজিত সম্রাট, এখনই প্রভৃতি।























