গাজার জনগণকে আটকে রাখা হবে: ইজরায়েল

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : জুলাই ০৯, ২০২৫

গাজার জনগণকে মানবিক শহরে আটকে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ।

ইজরায়েল কাটজ বলেন, “গাজার পুরো জনগণকে দক্ষিণের রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের ওপর তৈরি ‘মানবিক শহর’য়ে স্থানান্তরের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “প্রথম পর্যায়ে আল মাওয়াসি এলাকা থেকে বিতাড়িত প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে ওই শিবিরে রাখা হবে। পরবর্তীতে গাজার ২১ লাখ জনগণকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।”

ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “শিবিরে ঢোকার আগে প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে স্ক্যানের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তারা হামাসের সদস্য নয়। শিবিরে ঢোকার পর তাদের বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। গাজার পুরো জনগণকে ওই অঞ্চলে আটকে রাখা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “গাজাবাসীদের অন্য দেশে অভিবাসনের যে পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন, তা বাস্তবায়নের জন্য আমরা প্রস্তুত।”

ইজরায়েল কাটজ বলেন, “পরিস্থিতি অনুকূল হলে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে, তার সময়কালেই শিবির নির্মাণের কাজ শুরু হতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই অভিবাসন পরিকল্পনায় সমর্থন জানিয়ে সোমবার হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজের সময় বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, এমন দেশগুলো খুঁজে বের করতে যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ দিতে চায়, এবং আমরা কয়েকটি দেশের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেতে যাচ্ছি।”

জাতিসংঘ আগেই সতর্ক করে বলেছে, কোনো দখলীকৃত ভূখণ্ডের নাগরিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক আইনে অনুমোদিত নয়। সূত্র; দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস