তোমরা বন্ধু হও নারীর, একদম নির্ভেজাল শাস্ত্রীয় বন্ধু

মারিয়া সালাম

প্রকাশিত : নভেম্বর ১৯, ২০২০

আজ বিশ্ব পুরুষ দিবস | ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমি একজন চমৎকার পুরুষবান্ধব মানুষ। আমার দেখা হাতে গোনা কয়েকজন পুরুষ বাদে সবাই অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ।
 
আজ আমি যেখানে সেটার পেছনে আমার বাড়ির পুরুষদের ভূমিকার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বাড়ির বাইরেও আমার বন্ধুরা, আমার সহকর্মীরা বা সুহৃদরা দারুণভাবে সহযোগিতা করেছেন আমাকে।
 
অন্যদের কথা জানি না, আমাদের বাড়ির পুরুষরা বেশ অশাস্ত্রীয়। মানে, তারা পুরুষ আর আমি নারী এইভাবে কোনদিন তাদের বিচার করতে দেখি নি, কোন বৈষম্য করতে দেখি নি।
 
আমার মতে পুরুষরা বন্ধু, প্রেমিক এবং স্বামী সব হিসেবেই চমৎকার শাস্ত্রীয়। মানে, একদম পুস্তকের আদর্শ বন্ধু এবং প্রেমিক, এবং কটকটে কড়া টাইপ স্বামী। তাদের এই শাস্ত্রীয় স্বামীরুপের চেয়ে বিরক্তিকর আর কিছু হতে পারে না।
 
আমি আমার ছেলেদের বলি, তোমরা একদম আদর্শ বন্ধু হও নারীর, একদম নির্ভেজাল শাস্ত্রীয় বন্ধু। কিন্তু, ভুল করেও শাস্ত্রীয় স্বামী মানে নারীদের প্রভু ভেব না নিজেদের, একমাত্র এখানে তোমরা হবে অপুস্তকীয়।
 
ইউকি থেকে একটু ইতিহাস দিচ্ছি:
পুরুষ দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথম করা হয় ১৯৯৪ সালে। তবে ইতিহাস বেশ পুরোনো। ১৯২২ সাল থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালন করা হতো রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে। এই দিনটি পালন করা হতো মূলত পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে।
 
২০০২ সালে দিবসটির নামকরণ করা হয় ‘ডিফেন্ডার অফ দ্য ফাদারল্যান্ড ডে’। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ তখনকার সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালন করা হতো। বলা যায়, নারী দিবসের অনুরূপভাবেই দিবসটি পালিত হয়। ষাটের দশক থেকেই পুরুষ দিবস পালনের জন্য লেখালেখি চলছে। ১৯৬৮ সালে আমেরিকান সাংবাদিক জন পি হ্যারিস নিজের লেখায় এ দিবসটি পালনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
 
নব্বই দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও মাল্টায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারিতে পুরুষ দিবস পালনের জন্য বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। যদিও অনুষ্ঠানগুলো খুব একটা প্রচার পায়নি। অংশগ্রহণও ছিল কম। পরবর্তী সময়ে ১৯ নভেম্বর পুরো বিশ্বে পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।