আশিক আকবরের একগুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮

কণিকা

এক.
সব আড্ডাতেই যেতে ইচ্ছা করে
যাই যাই করে আর
যাওয়া হয়ে উঠে না

দুই,
যাবই না ময়মনসিংহ,
বহ্মপুত্র পাড়ে কবিরা আড্ডাবাজি করুক।

তিন.
সকাল বেলার উড়াল,
উড়াল দিলে?
ডানা কিন্তু কাটা না আমার!

চার.
মদ খাইতে মন চাইতেছে
চারপাশে মদের গন্ধে ভুর ভুর করতাছে
প্রলেতারিয়েত হা-হুতাশ মদে মাইরা ফেলতে চাইতাছি
ইহা খাইতে ভাল্লাগে না আমার
পরের পয়সার পানে ঘেন্নাও লাগে
মদ দিয়া গোসল করার দিনগুলাত খারাপই ছিলাম
তখন যেন ঘোরে ঘোরে কাকে কাকে যেন খুন করতাম
আয়শারা আঁচল তুলে যাবার কালে ফিরে দেখতোই
তবু আজ একটু মদ খাই
মাতলামি করতে করতে তোমাকেই যেন পাই

পাঁচ.
এত এত অপর
কেউ একজন তো বুকের উপর দাঁড়ায়ে নাচতেও তো পারে
তবু তো এমন খোলামাঠ মাঠ লাগে না
ও পিঁউ কাহা, গাও না একটা গান

ছয়.
বুকজুড়ে বেদনার নৃত্য হলে
অভিমান হলে
কার কি
ব্রহ্মাণ্ডে কোনো বামার হৃদয়েই আর প্রেম ভালোবাসা নেই
হিসাব নিকাশের বোঝাপড়া আছে
আছে সেবার তরে ছাইড়া দেয়া শারীরিক সুখ

সাত.
প্রেম আর অভিমানে কেউ পথে পথে গেলই না আর!

আট.
ও কাদরী
হঠাৎ কোনো গলির দেখলেই থমকে দাঁড়াবেন না
জাপটে ধরবেন
আমি আপনার হারিয়ে যাওয়া আপনা ভাই
বাংলার কবিতার একান্ত পরকীয়া
আকাশে উড়া কালিদাস মেঘ
যক্ষ যক্ষিণী গো, খবর লৈয়া যাও
তালপাখা নিয়া নিছে ছুটি
নকশি বিছুন ফিরে ফিরে চামরের গল্প শোনায়
ইলেকট্রিক ফ্যান অহর্নিশ বাজায় উচ্চাঙ্গ সংগীত
সমুদ্রে ভাসা গাঙচিলের ভাষ্যে বারবার ধরা দিচ্ছে ডলফিন চিৎকার
আস্ত এক দোকান হৈয়া উঠছে পশ্চিম চাটুয়া বাংলা কবিতা
এর ওর ক্ষেতের ধান খাইয়া খাইয়া কালা ষাঁড় নাদুস নুদুস
শহীদ কাদরী ভাই, কালা ষাঁড় করি কোরবানি
রক্তারক্তি না ঘটলে তো শাদা বৃষ্টি নামছে না আর!

নয়.
আমার আবার একলা হবার অসুখ আছে
দুকলা হৈতে আইসো না গো ধাক্কা খাবে
চোখের জলে নাকের জলে গোল বাধাবে
অমনি আছো অমনি থাকো একা একাই
ফুলের টোকা আইসা নিতে মরবে হুদাই
দেখছো না ঐ সূর্যটাকে ঘুরতে একা
থাকো থাকো একা থাকো পাবেই পাবে তারই দেখা
আমার না হয় একটু খানি হাতটি ছাড়ো
খালেস দিলে বলছি আমি পাবেই আরো
দাও ছেড়ে দাও, দাও না আবার ঐটি দিকে
ওখান কারো হরেক দিনের রঙিন পাখি হয়নি ফিকে

দশ.
এইসব নদী জলে হাওয়ায়
যদি কোনো পাখি ওড়ে
যদি গায়
অনেক অনেক দূর থেকে ভেসে আসে যদি
আড়বাঁশি সুর
মনে করে নিও
লেকের জলের আয়নায় ভেসে ছিল আমাদেরও মুখ