স্বপ্নপরির পেট ছুঁয়ে

চয়ন খায়রুল হাবিব

প্রকাশিত : মার্চ ২১, ২০১৮

অনেক অনেক বছর পর রাতে ঘুমাইলাম। স্বপন দেখলাম এবং সকালের নাস্তার সময়ও তা মনে থাকল। দেখি, এক মোটাসোটা সুইটি পরির শ্যামলা পেটের চামড়ায় সেঁটে আছি দুনিয়ার সবাই। এর ভেতর ক্যাম্পাসে ক্লাসে যাবার সময় কলাভবনের সামনে এক রিক্সাওয়ালার সাথে ঝগড়াঝাটি। হাল্কের মতো রিক্সা উঠায়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়ে ছুড়ে দিলাম। সাথে সাথে র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে কমান্ডোরা আমাকে ঘেরাও করে ফেলল। অন্যান্য ছাত্ররা চম্পট। আবার কিছু ছাত্র তাৎক্ষণিক জোট বেঁধে র‍্যাবকে ইট মারতে থাকলো।

র‍্যাব আমাকে হেলিকপ্টারে উঠায়ে নিয়ে বৌয়ের কাছে নিয়ে আসলো। সাথে দেখি রিক্সাওয়ালাকেও নিয়ে আসছে। তারপর বৌকে বলল, উনি শহরে বিশৃঙ্খলা কায়েম করতে চেয়েছেন। সামারি আদালতের বিধানমতে উনি রিক্সাওয়ালার বস্তিতে থাকবেন, আর রিক্সাওয়ালা ভাই আপনার সাথে থাকবেন। আপনি যা যা ওনার সাথে করেন, সব রিক্সাওয়ালা ভাইয়ের সাথে করবেন এক সপ্তাহ। আর আমরা সাতজন কমান্ডো আসছি, প্রত্যেককে পঞ্চাশ হাজার করে দিতে হবে। কোথায় ফোন করতে হবে করে নেন। আমাদের লোক কালেক্ট করে নেবে।

বৌ আমার আসমানের দিকে হাত তুলে, `ও পরি, ও পরি, ও পরি` করতে থাকলে বিল্ডিংটা কাইত হওয়া শুরু করলো। র‍্যাব তাড়াতাড়ি পলায়ে গেল। রিক্সাওয়ালা বলল, পরির রহমতে বাঁচলেন। এই বাড়ি তো কাইত। অহন কৈ যাবেন চলেন, পৌছায় দেই।

বৌ রিক্সাওয়ালের গালে এত্ত বড় একটা চুমা দিয়ে বলল, চলেন।

গেলাম বাল্যকালের স্কুলে। পোলাপান সব ধোপদুরস্ত। আমাদেরকে দেখে চিল্লাইতে লাগলো, এরা আইনের শাষন মানে না, এদেরকে স্কুলে ঢুকতে দিমু না।

ব্রাশফায়ার করে স্কুলের সব বাচ্চা এবং টিচারদের মেরে ফেললাম। বৌ, আমি আর রিক্সাওয়ালা। তারপর পাহাড়ের ঢালে বসে সাগরের সূর্যাস্তের দিকে তাকায় থাকলাম। তারপর দেখলাম, স্কুবা ড্রেসে পুরানো দুই বান্ধবী একটা সাম্পান নিয়ে আসছে। রিক্সাওয়ালা থান ইট দিয়ে দুজনের মাথা ফাটায়ে মেরে ফেলল। বৌকে বলল, আমি শুনলাম, আন্টি ওনারা র‍্যাবের লোক। ম্যাঞ্চেস্টারে থাকে। এক্টিভিস্ট পরিচয়ে এটাসেটা করে। রাস্তায় থাকি তো, চিনতে পারি।

সাম্পান চালায় একটা নতুন অজানায় চলে গেলাম। নতুন আজানায় ঠিক করলাম, রাত্রে ঘুমায়া আর কাম নাই। সেইখানে অবশ্য পুরা বারোমাস চাঁদনি।

২১/০৩/১৮
ব্রিটানি