আবুল মনসুর আহমেদ ও তার ভাষা
সাইদুর শফিকপ্রকাশিত : মার্চ ১১, ২০১৮
আবুল মনসুর আহমদের `বাংলাদের কালচার` পড়িতেছি। বড়ই ভালো কিতাব মনে হইতেছে। কিতাবখানা প্রিয় ব্যারিস্টার সাইফুর রহমান ওস্তাদ তোহফা দিয়াছেন। বহুত দিন ধরিয়া ভালো কোনও কিতাব পড়িবার ফুরসত মিলিতেছিল না। অবশেষে কিতাবখানা হাতে নেয়ার ফুরসত মিলিলো। আবুল মনসুর আহমদ আমার একজন প্রিয় ব্যক্তি।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মাদ্রাসা পড়ুয়া লেখকেরাও এত জেয়াদা পরিমাণে আরবি-ফার্সি শব্দের ইস্তেমাল করে নাই, যত আরবি-ফার্সি শব্দের ইস্তেমাল আবুল মনসুর আহমদ করিয়াছেন। আমরা ফররুখ, নজরুলকেই আরবি-ফার্সি শব্দের ইস্তেমালকারি সাহিত্যিক হিসেবে গণ্য করিয়া থাকি। কিন্তু আবুল মনসুর আহমদের নাম ভুলেও উল্লেখ করি না।
বহুদিন পূর্বে তার লেখা `আয়না` পড়িয়া ভাবিয়াছিলাম, এত কঠিন আরবি-ফার্সি শব্দ দিয়া আর কেহ সাহিত্য লিখিয়াছে কি! আরবি-ফার্সি শব্দের এমন লাযিয ইস্তেমাল আর কয়জনই বা করিতে পারিয়াছে! আমি ভাবি, এ ভাষায় যদি এই সময়ে তিনি লিখিতেন তবে তাহার পুত্রের পত্রিকা `ডেইলি স্টার` তাহাকে মৌলবাদী সাহিত্যিক বলিয়া ফতোয়া প্রদান করিত। বহু আগে ইন্তেকাল করিয়া তিনি পুত্রের পত্রিকার হাত হইতে বাঁচিয়া গিয়াছেন।
এইবার `বাংলাদেশে কালচার` কিতাবখানা সম্পর্কে কিঞ্চিৎ বাত করিতেছি। বইখানা আমি বহু পূর্বে পিডিএফ অর্ধেক পড়িয়াছিলাম। কিন্তু সারমর্ম কিছুই ইয়াদ নাই। বইখানা এবার পড়িতে শুরু করিয়া দেখেছিলাম, লাইন দাগাইয়া পড়িবো কি! প্রত্যেক লাইনই যে দাগানোর দাবি রাখে। আপনারা কিতাবটি পড়িতে পারেন। কিতাবখানার তোহফাদাতাকে মন থেকে কিঞ্চিৎ মুহাব্বাত নজরানা দিতেছি এই কিতাবটি আমার মতো নাদানের হাতে পৌঁছাইয়া দেয়ার জন্য।
চলিত ভাষাই আমি লিখিতে পারি না। আজ সাধু ভাষা লিখিতে চেষ্টা করিলাম আর এই চেষ্টায় হিম্মত জুগাইয়াছেন আবুল মনসুর আহমদ।
























