
জনপ্রিয় নায়িকা বনশ্রী থাকতেন বস্তিতে, মৃত্যুতে মিলল মুক্তি
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
ঢাকাই সিনেমার নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন। শেষজীবনে বস্তিতে থেকে তিনি করুণ জীবন যাপন করেন। মঙ্গলবার দুপুরে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বাদ মাগরিব তার মামা পান্নু মাদবরের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পল্লি কুমেরপাড় এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য সনি রহমান মঙ্গলবার বলেন, “চিত্রনায়িকা বনশ্রী বেশকিছু অসুখে ভুগছিলেন। আজ তিনি মারা গেছেন। আজই বাদ আসর তাকে মাদারীপুর দাফন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বনশ্রী আপার ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, উনি পাঁচদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যাসহ একাধিক ব্যাধি ছিল। তিনি চলে যাওয়ার আগে অনেক কষ্ট করেছেন। এক সন্তান রেখে গেছেন। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।”
শিবচরের মাদবরের চর ইউনিয়নের মেয়ে বনশ্রী। ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে জন্ম তার। বাবা মজিবুর রহমান মজনু শিকদার ও মা সবুরজান রিনার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বনশ্রী বড়। ৭ বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি।
১৯৯৪ সালে ‘সোহরাব রুস্তম’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে বনশ্রীর। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। পরিচিতি পান বনশ্রী। এরপর আরও গোটা দশেক সিনেমায় অভিনয় করেন। নায়ক মান্না, আমিন খান ও রুবেলের বিপরীতেও নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন বনশ্রী।
একটা সময়ে তিনি ছিটকে পড়েন রুপালি জগৎ থেকে। পথে পথে ঘুরে দিন কেটেছে তার। থেকেছেন বস্তিতেও। তার ২ সন্তান ছিল। তার মধ্যে মেয়েটি ছিনতাই হয়ে গেছে। রেখে গেছেন কেবল এক পুত্রকে।
চলচ্চিত্রকার ফারুক ঠাকুরের মাধ্যমে সিনেমার জগতে আসেন বনশ্রী। একটি মামলায় ফারুক ঠাকুর গ্রেফতার হলে বনশ্রীর বিরুদ্ধে নানা কথা রটে। আস্তে আস্তে তার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে থাকেন প্রযোজকরা। এরপর থেকেই শুরু হয় বনশ্রীর কষ্টের জীবন।