আবু হুরায়রার থলে
মাহমুদুল হাসান মিথুনপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
ছোট্ট একটা খেজুরের থলে। সেখান থেকে আবু হুরায়রা (রা.) নেন আর খান; এক মুঠ, দুই মুঠ, দশ মুঠ। এক কেজি, দুই কেজি, দশ কেজি; ছোট্ট সেই থলে থেকে আবু হুরায়রা নিতেই থাকেন। নিজে খান, অন্যদের খাওয়ান, তবু ফুরোয় না থলের খেজুর।
কী বিষয়, ছোট্ট একটা থলেতে কতটুকু খেজুরই বা থাকতে পারে? এতটুকুন থলেতে এত খেজুর কোত্থেকে এলো!
আবু হুরায়রার মুখ থেকেই শোনা যাক ঘটনা। তিনি বলেন, একবার আমি নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে কিছু খেজুর নিয়ে এলাম। বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, এ খেজুরগুলোতে বরকতের দুআ করে দিন। নবিজী সেগুলো একসাথ করে বরকতের দুআ করে দিলেন। বললেন, তুমি এগুলো এ থলেতে রাখো। যখন তোমার প্রয়োজন হবে থলের ভেতর থেকে খেজুর নেবে, কিন্তু থলের সব খেজুর ঢেলে ফেলবে না।
নবিজীর কথামতো আবু হুরায়রা প্রয়োজন হলেই থলে থেকে খেজুর নেন। নিজে খান, অন্যদের খাওয়ান। নবিজীর দুআর বরকতে এতে এত বরকত হলো যে, আবু হুরায়রা বলেন, এ থলে থেকে আমি অনেক ওয়াসাক (বিশেষ একটি পরিমাপ, প্রায় পাঁচ মণ সমান) খেজুর আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছি।
এভাবে অনেকদিন চলল। আবু হুরায়রাও বরকতময় থলেটি সবসময় কাছে কাছে রাখেন। নিজের লুঙিতে গুঁজে রাখেন, যাতে না হারায়। কিন্তু থলেটি একদিন হারিয়ে গেল। হযরত উসমান (রা.) নিহত হওয়ার দিন থলেটি যেন কোথায় পড়ে গেল। আর খুঁজে পাওয়া গেল না। আবু হুরাইরার আর আফসোসের সীমা রইল না।
আবু হুরায়রার এ থলের মাধ্যমে নবিজীর এক মুজেযা প্রকাশ পেল। নবিজীর দুআর বরকতে, আল্লাহর কুদরতে ছোট্ট একটা থলে থেকে মণকে মণ খেজুর বের হলো। ঈমানদারের ঈমান মজবুত হলো।
সূত্র: তিরমিজি ৩৮৩৯
























