কলকাতা প্রেসক্লাবে নুসরাত জাহানের সংবাদ সম্মেলন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : আগস্ট ০৩, ২০২৩

বাড়ি কিনতে যে টাকা ঋণ নিয়েছিলেন সে ঘটনায় রাজনৈতিক রং না চড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। কলকাতা প্রেসক্লাবে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অনুরোধ জানান।

 

নুসরাত বলেন, “সেভেন সেন্সেস নামের সংস্থা থেকে বাড়ি কিনতে আমি ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। পরে তা শোধও করি। দয়া করে এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক রঙ চড়াবেন না। কারণ, এটার সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। ব্যাংকের লেনদেনে কোনো অস্বচ্ছতা নেই।”

 

নুসরাতের সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের সামনে চেক নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব অভিযোগ করেন, ওই সংস্থা থেকে নুসরাত ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। অভিনেত্রী। কখনো ৫ লাখ, কখনো ২৫ লাখ, কখনো ৩৭ লাখ টাকা করে কোম্পানি থেকে একাধিকবার টাকা তুলেছিলেন নুসরাত। সেই টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনেছেন। নুসরাত যখন ওই সংস্থার পরিচালক পদে ছিলেন, তখনই যাবতীয় দুর্নীতি হয়েছিল।

 

শঙ্কুদেব আরও অভিযোগ করেন, নুসরাতের সংস্থা বয়স্ক নাগরিকদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছে। ২০১৪ সালে ৪২৯ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকের থেকে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, রাজারহাটে হিডকোর দপ্তরের কাছে তাদের প্রত্যেককে ৩ কামরার (৩ বিএইচকে) ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে ওই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পর ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কোনো ফ্ল্যাট পাননি।

 

নুসরাতের বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টাকা-পয়সা সংক্রান্ত অভিযোগের দায়িত্ব দল নেবে না। এটা ওদের নিজেদের বিষয়, সেটা ওরা নিজেরাই বলবে। কিন্তু প্রমাণের আগেই দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ডিরেক্টর তো অনেকেই থাকে, নুসরাত যদি কোনো জায়গার ডিরেক্টর থেকেও থাকে, তাহলে এ রকম ডিরেক্টর তো অনেক আছে। ওদেরও তো (বিজেপির) কে একজন সংসদ সদস্য আছে, যার বিরুদ্ধে ইডি-তে কমপ্লেন আছে। তিনি বিদেশেও গিয়েছিল চিটফান্ডের মালিকের সঙ্গে। আমি নাম বলব না।”