গুম, খুন ও ক্রসফায়ারে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আহ্বান

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ১১, ২০২৫

গুম, খুন ও ক্রসফায়ারে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের পাঠানো বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনামলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের দুটি মামলায় সম্প্রতি শেখ হাসিনাসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তবে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও প্রশাসন কর্তৃক তাদের গ্রেফতারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ আমরা এখনও দেখতে পারিনি। বরং আসামিদের মধ্যে কেউ কেউ দেশের বাইরে পালানোর চেষ্টা করছে বলেও আমরা গণমাধ্যমসূত্রে দেখতে পাচ্ছি।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জুলাই অভ্যুত্থানোত্তর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এ ধরনের দীর্ঘসূত্রিতা অত্যন্ত উদ্বেগজনক; যা একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে এক ধরনের অনাস্থা সৃষ্টি করছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ফ্যাসিবাদী আমলে যে গুম, খুন, ক্রসফায়ার ও টর্চার সেলের সংস্কৃতি আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, তাতে সেনাবাহিনীর একটি অংশের, বিশেষত র‍্যাব ও ডিজিএফআইয়ে দায়িত্বরত সদস্যদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানকালেও আমরা সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যদের ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে দেখেছি। মূলত, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই তারা এইসব মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িয়েছিল; যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “২৪-এর জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে আমাদের সামনে একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। মনে রাখতে হবে, জুলাই কেবল ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য হয়নি; বরং গুম-খুন-ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি চিরতরে বিলুপ্ত করার জন্যও হয়েছে। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কোনো যদি-কিন্তু ছাড়াই মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সেনাবাহিনীর সদস্যদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে।”