
জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউই ছাড় পাবে না: চিফ প্রসিকিউটর
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ১১, ২০২৫
জুলাই গণহত্যাকারীদের কেউ-ই ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, “যারা মনে করেছিলেন বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়ে পার পাওয়া যাবে কিংবা প্রতিবিপ্লব ঘটিয়ে বিচারকাজকে বানচাল করা যাবে, তাদের জন্য পরিষ্কার বার্তা হলো, যারা অপরাধ করেছেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না। বিচারের প্রক্রিয়া কোনোভাবেই বন্ধ হবে না।”
আজ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রাজধানীর চানখারপুলে শিক্ষার্থী আনাসসহ ছয়জনকে হত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন তাজুল ইসলাম।
সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যেসব তরুণরা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার মুক্ত করেছেন তাদের স্বজন-পরিবার বেঁচে আছেন। তাদের সাক্ষ্যের মাধ্যমেই দেড় হাজারেরও বেশি মানুষের জীবন যাওয়া পরিবারের প্রতি জাস্টিস করার যে চেষ্টা, সেটা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।”
চানখারপুলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলার প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য শুরু করেন শহিদ আনাসের বাবা শাহরিয়ার খান পলাশ। এছাড়া সাক্ষী হিসেবে তার মাও উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে ১৪ জুলাই এ মামলায় পলাতক ৪ আসামিসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বর্তমানে এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন চারজন। তারা হলেন: শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, মো. ইমাজ হোসেন ইমন ও মো. নাসিরুল ইসলাম।
৩ জুলাই চানখারপুলের মামলাটির অভিযোগ গঠন নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়। সেদিন আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিফাত মাহমুদ শুভ। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।
এছাড়া পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চারজন। বাকিরা হলেন: ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
২৯ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়। তবে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদন শুনানির জন্য সময় চান আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।