
ডিসেম্বরে তফশিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ০৭, ২০২৫
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফশিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চূড়ান্ত হয়েছে দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি। আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, “তফশিল ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। পোস্টাল ব্যালোটে ভোট দেবেন প্রবাসী ভোটাররা। প্রবাসী ভোটারদের ভোট দিতে হলে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রবাসী ভোটারদের বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করা হবে।”
এর আগে আজ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ।”
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, “সভার শুরুতেই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ৫ আগস্ট আমার প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। আজ থেকে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এখন আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।”
এর আগে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির রমজানের আগেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বলেছে। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে ডিপফেইক, মিথ্যা, পক্ষপাতমূলক, অপপ্রচারমূলক, কুৎসা ও মানহানিকর কনটেন্ট (যেমন, এডিট ভিডিও, অডিও, বানোয়াট খবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।
এমনকি প্রার্থী ও দলীয় নেতাদের চেহারা বিকৃত করে কোনো প্রচার চালানো যাবে না। কেউ এসব কার্যক্রম করলে তার বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা বা ডিজিটাল আইনে মামলা হবে। এমন নতুন বিধান যুক্ত করে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।
আরও জানা গেছে, রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির মতামত নিয়ে এ আচরণ বিধিমালার খসড়া তৈরি করেছে ইসি। ২৯ জুন নির্বাচন কমিশন যে খসড়া আচরণ বিধিমালা প্রকাশ করেছিল, সেখানে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ওই খসড়ায় শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কথা উল্লেখ ছিল।
বিএনপিসহ একাধিক মতামতের ভিত্তিতে আচরণ বিধিমালায় এআই’র অপব্যবহারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারের বিষয় বেশ কিছু নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, খসড়া বিধিমালায় নির্বাচনি প্রচারণা ও ভোটগ্রহণের দিন ড্রোন, কোয়াডকপ্টার বা এ জাতীয় যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।