
নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ট্রাম্প
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুন ২৫, ২০২৫
ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। পাবলিকান আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার এই পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে বাডি কার্টার চিঠি লিখেছেন, ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী পরমাণু অর্জন থেকে বিরত রাখতে ট্রাম্পের অসাধারণ ও ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে।”
চিঠিতে কার্টার আরও লেখেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ দুই দেশের যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যা অনেকেই অসম্ভব বলে মনে করেছিল।”
চিঠিতে লেখা হয়, “ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা রোধ করার জন্য এবং ইরান যাতে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনে সক্ষম না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য সাহসী ও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।”
বাডি কার্টার লেখেন, “নোবেল শান্তি পুরস্কার যেসব আদর্শকে স্বীকৃতি দিতে চায়, সংকটের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের নেতৃত্ব তা তুলে ধরে। ঐতিহাসিক বৈরিতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় জর্জরিত এই অঞ্চলে এই ধরনের অগ্রগতির জন্য সাহস ও স্পষ্ট অবস্থান উভয়েরই প্রয়োজন, যা ট্রাম্প দেখিয়েছেন।”
সোমবার বিকালে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এর মাধ্যমে মঙ্গলবার রাত থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যদিও এ সময়ের মধ্যে দুই দেশই পালটাপালটি হামলা চালায়।
১৩ জনু ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে দেশটিতে প্রথম হামলা চালায় ইজরায়েল। এক সপ্তাহ ধরে পালটাপালটি হামলার পর পরিস্থিতি যুদ্ধে রূপ নেয়। এর মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইরানকে আলোচনায় বসার জন্য চাপ দিতে থাকেন এবং সময় বেঁধে দেন।
তবে ইরান তাতে সায় না দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইজরায়েলকে নাজেহাল করে দেয়। অবশেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ২০২৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান।
ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংকটে ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেওয়ার’ স্বীকৃতি হিসেবে ট্রাম্পের জন্য এ আনুষ্ঠানিক সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান সরকার। সূত্র: পলিটিকস