পলিয়ার ওয়াহিদের কবিতা ‘রোদে ভেজানো পনেরটি দীর্ঘ শুকনো সুপোরি’
প্রকাশিত : জুন ১৫, ২০২০
এক.
কারো কারো কথা
দারুণ টক
তবু তাদের হাসিতে
লেগে থাকে লবণ
দুই.
কোনো সময়ই গুরুত্বপূর্ণ নয়
আপনাকে গুরুত্ব দেবে সময়
তিন.
অবচেতনে যারা
চেতনার কথা বলে
তাদের দেশ নেই..
চার.
দীর্ঘশ্বাসেরা
ঘুমিয়ে গেছে
দম কিনতে
যারা হাটে গেল
তাদের মৃত্যু
ডাকাতের ছুরিতে!
পাঁচ.
কাউকে তুমি চাও?
তাহলে উপায়
পাওয়ার চেয়ে
বেশি বেশি হারাও!
ছয়.
বৃষ্টির মৌসুমে শামুকের স্মৃতি
আপনাকে কতটা কাঁদায়?
শুধু ঝিনুকের নাভি দেখে
কেন খনন করছেন গভীর জীবন?
সাত.
আয়ুর রোদে
হেলেদুলে হেঁটে যায়
মৃত্যুর ছায়া
আট.
জলপাই খেলে
ত্বকের উজ্জ্বলতা
পেয়ে বসতে পারে
তার চেয়ে সুপোরি খেয়ে
শরীর পান করুন
নয়.
দীর্ঘদিনে পিপাসার
সঙ্গীকে কারা
ফেলে যায় জলে?
দশ.
এই মুহূর্তে
যে সামনে
বসে আছে
সে-ই পৃথিবীর
সবচেয়ে দামি...
মনে মনে মন রে
এইকথা আমি জানি..
কখনো লিখতে চাইনি
মহা মহা মহান বাণী...
এগারো.
যারা বৃষ্টিতে ভিজে গেল
তাদের জন্য
ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে
আকাশ
বারো.
দৃশ্যের ভেতর লুকানো
স্বভাব নিংড়ে যারা
কান্নাকাটি করে
তাদের চোখ হয়ে জন্মাতে
ইচ্ছে করে খুব!
তের.
গানের সুর তাদের ভুলিয়ে দেয় দুঃখ
বিচ্ছেদে গড়াগড়ি করে যাদের লিরিক
চৌদ্দ.
তোমাকে হাঁটতে হবে সামনে
ভবিষ্যতে
কিন্তু ডানা তোমার গড়া
অতীতের ধাতুতে
পনের.
পিছু হাঁটা লোকের
প্রথম হবার স্বভাব থাকে!
























