পুরাণকথা ‘মেলুজিন’

ছায়াবীথি শ্যামলিমা

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২০

ইউরোপীয় রূপকথা অনুসারে, মেলুজিন হচ্ছে মৎস্য জাতীয় প্রাণী যার দেহের উপরেরভাগ নারী শরীর আর নিচের ভাগ মাছ কিংবা সরীসৃপের মতো। সাধারণত আমরা মৎস্যকন্যাদের যেসব গল্প শুনে থাকি, তাদের থেকে মেলুজিন কিছুটা আলাদা। তার শরীরের প্রান্তভাগে দুটি লেজ রয়েছে। পরিষ্কার পানিতে এদের পাওয়া যায়।

মেলুজিনকে নিয়ে যে গল্পটি প্রচলিত তা হচ্ছে, কাউন্ট পয়তুর ছেলে রেমন্ড একদিন শিকারে গিয়ে একটি মেলুজিনের দেখা পান। তারা দ্রুত একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে। রেমন্ড মেলুজিনকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। মেলুজিন বিবাহে রাজি হয় কিন্তু রেমন্ডকে একটি শর্ত পালন করতে হবে। তা হচ্ছে, বিয়ের পর প্রতি শনিবার রাতে রেমন্ডকে একা একা কাটাতে হবে। মেলুজিনের ঘরে ঢোকা যাবে না।

মেলুজিনের এই শর্তে রেমন্ড রাজি হয় এবং দুজনে একসাথে ঘর করতে থাকে। মেলুজিনের গর্ভে রেমন্ডের সন্তান আসে একসময়। পরিবারে যেন খুশির কোনো শেষ নেই। কিন্তু রেমন্ডের মনে আস্তে আস্তে একটু সন্দেহ দানা পাকিয়ে উঠতে থাকে।

এমন কি আছে যে, মেলুজিন শনিবার তাকে ঘরে আসতে নিষেধ করে? একদিন রেমন্ড মেলুজিনের ঘরে উঁকি দিয়ে দেখল, মেলুজিনের শরীরের আসল অবস্থা। মেলুজিন আদতে সম্পূর্ণ একজন মানুষই নয়। রেমন্ডকে দেখবার সাথে সাথে মেলুজিন জানালা গলে কাছের নদীতে ঝাঁপ দেয়।

এরপর মেলুজিনকে আর কখনো দেখা যায়নি।