
মাজারে হামলা চালালে ছাড় দেওয়া হবে না: ধর্ম উপদেষ্টা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : আগস্ট ১০, ২০২৫
মাজারে হামলা চালালে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “দেশের যেকোনো মাজার, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় হামলা চালালে বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এরই মধ্যে বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং কিছু ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। প্রতিটি মাজার ও মসজিদ কর্তৃপক্ষকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানাচ্ছি। এতে হামলাকারী শনাক্ত করা সহজ হবে। তবে সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। কারণ প্রতিটি মাজারে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব নয়।”
পাগলা মসজিদ পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, “শিগগিরই দৃষ্টিনন্দন ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হবে। আধুনিক তুরস্কের নকশায় বহুমুখি কার্যক্রমের উপযোগী ইসলামিক কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের মধ্যেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পাগলা মসজিদের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এফডিআর হিসেবে রাখা আছে, যার লভ্যাংশ গরিব, অসহায়, অনাথ ও অসুস্থদের জন্য ব্যয় করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদেরও এই তহবিল থেকে সহায়তা দেওয়া হবে।”
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন: জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইমরানুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
পরে দুপুর ১২টায় তিনি আল জামিয়াতুল এমদাদিয়া আয়োজিত ‘ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বিকেলে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে কিশোরগঞ্জ ত্যাগ করবেন।
এর আগে সকাল ৯টায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্টা।