
২০২৭ সাল থেকে মাধ্যমিকে নতুন শিক্ষাক্রম: শিক্ষা উপদেষ্টা
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : জুন ০৪, ২০২৫
২০২৭ সালে নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। আজ বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “২০২৭ সালে নতুন কারিকুলামে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ইলেভেন শ্রেণি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র দু’মাস হলো। এর মধ্যে সরকারের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। জুলাই-আগষ্টের পর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি শূন্য হয়ে পড়ে। কিছুটা হলেও সেগুলো পূরণ করা হয়েছে। আগামীতে ভিসি নিয়োগের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল গঠন করা হয়েছে।”
ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “৭ মার্চ আমাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকে কয়েকটি ন্যায়সংগত ও মৌলিক দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামীতে যতটুকু সময় পাব সঠিকভাবে শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাব। এবারের এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোনো প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।”
তিনি আরও বলেন, “এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় ৬২টি প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সারা দেশে ১ হাজার ৫১৯টি মাদ্রসাকে এমপিওভুক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “শিক্ষকদের সরাসরি রাজনীতি করা উচিত নয়। তবে তারা ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে পারবে কিনা, সেটা আগামীর রাজনৈতিক সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা তাদের ওপর সিদ্ধান্তের ভার রেখে দিলাম।”
এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, “এ বছর যত বই ছাপা হয়েছে, শুনেছি এর মধ্যে ২০ পার্সেন্ট নাকি খারাপ বই ছিল। যদি এমনটা সত্যিই হয়ে থাকে, তবে এটাও ঠিক যে, এবার ৮০ পার্সেন্ট বই কিন্তু সঠিকভাবেই ছাপা হয়েছিল। কিন্তু আগের বছরগুলোতে কত পার্সেন্ট যে খারাপ বা ভাল বই ছিল, তা কিন্তু কেউ বলেনি।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী বছর যাতে আরো উন্নতমানের কাগজে বই ছাপানো যায়, সেজন্য এবার কাগজের কালার সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যাতে যে কোনো নিম্নমানের কাগজে বই ছাপাতে না পারে। এবার অনেক আগে থেকেই বই ছাপানোর কাজ শুরু করতে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে।”