টিকটক সেলিব্রেটি অপু ও আমাদের কালচার

তুহিন খান

প্রকাশিত : আগস্ট ০৪, ২০২০

টিকটক সেলিব্রেটি অপু ভাইরে গ্রেফতার করা হইছে। এখন তার ও আরেক টিকটকার মামুনের টিকটক আইডি ব্যানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হইছে। ব্যাপারটা নিয়া যেহেতু থানায় কেস আগেই হয়ে গেছে, তাইলে আমাদের কাজ আপাতত একটাই: মাথা ঠাণ্ডা কইরা ভাবা।

অপুর নামে যে মামলাটা হইছে, এইটা খুব কমন মামলা। পুরান ঢাকায় যারা থাকেন, তারা `এলাকার পোলাপান`র রাস্তায় মারামারির সাথে বেশ ভালভাবে পরিচিত আছেন আশা করি। কিন্তু অপুর ঘটনাটা এত ভাইরাল হইল কেন?

অপু দোষ করছে, রাস্তায় মারামারি করছে। কিন্তু অপুর ব্যাপারে আমাদের এই হিউজ কনসার্ন কি শুধু এজন্যই? সকলেই জানি, না। এই হিউজ কনসার্নের অন্য নানা কারণ আছে। অপুর দোষরে দোষের জায়গায় রাইখাই, সেগুলা নিয়া আলাপ করা যাইতে পারে তো।

অপুর উপর এত্ত রাগের কিছু প্রধান কারণ এমন:

১. অপুর চুল। অপুরে ধরার পর তার চুল কাটতে চাইছে সবাই। অনলাইনে তার গ্রেফতারের ম্যাক্সিমাম পোস্টেই কমেন্টকারীরা তার চুলের উপর ক্ষোভ ঝাড়ছে। আমার ধারণা, কালার না থাকলেও, খালি তার বিখ্যাত `ঝাঁকি`র কারণেই, এদেশের সমস্ত `কালচার্ড` লোকেরা তার চুল কাটতে চাইত।

এখন বোঝেন, চুলে কালার করা কাদের কালচার? বাঙলার গরীব ছোটলোকদের? না কিন্তু। এই কালচার কারা এদেশে আনছে, কাদের দেইখা অপু-মামুনরা চুল কালার করে, তা বের করা খুব মুশকিল কাজ হওয়ার কথা না। কিছুদিন আগে খুন হওয়া `পাঠাও` প্রতিষ্ঠাতা সালেহের চুল দেখছেন কেউ? চুলে কালার করা এদেশে এলিটরাই আমদানি করছেন। `কালচার্ড` মধ্যবিত্তরা সেইটারেও মানেন নাই, `মিনমিনে` প্রতিবাদ কইরা গেছেন। কিন্তু কোন এলিটের কালার্ড চুল কাটার সাহস তারা করতে পারেন নাই।

এখন দেশের প্রত্যেক জেলা শহরেই এগুলা আছে। অপু-মামুনেরা টিকটক কইরা টাকাও পায় ম্যালা। তারা চুল কালার করে, ইচ্ছামত। তাতে এলিটদের তো ক্ষোভ আছেই, মিডলক্লাশের ক্ষোভ সবচাইতে বেশি। তারা তো এমনিই এগুলা দেখতে পারে না, আবার যদি করে `গ্রামের চাচাত ভাই`রা, কেমন লাগে!ব্যস, যেকারুর চুল কাইটা দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ।

২. ঢাকাইয়া না হওয়া। অপু যে নোয়াখালি থিকা ঢাকা আইসা মতবরি করতেছে, এইটা একটা বড় পয়েন্ট। তারে যারা ধরছে, তারা বলতেছিল যে: `আমরা কি ঢাকা ভাইসা আসছি?` আমার ধারণা, অপু ঢাকাইয়া, এমনকি পুরান ঢাকার হইলেও ছাড় পাইত।

সালমান মুক্তাদিরের কথা আপনাদের মনে আছে না? মুক্তাদিরও এইভাবেই শুরু করছিল কিন্তু। তখন সবাই বিরক্ত ছিল, যদিও বালটাও ছিড়তে পারে নাই। এখন তো মুক্তাদির বিশাল সেলিব্রেটি। তার প্রতি সেই `মিনমিনে` সুশীল ঘেন্নাও তত নাই। সে ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টির এক অনুষ্ঠানে গেস্ট ছিল। মুক্তাদিরের সাথে একটা ছেলে ছিল, `জাকি লাভ` না কি যেন। চেনেন তো? এই পোলার সাথে অপুর ফারাকটা আসলে কী? কিন্তু ওই পোলা বাঁইচা গেছে জাস্ট ঢাকাইয়া হওয়ার কারণেই মেবি।

তো, ঢাকাইয়া না হওয়া, এইটা অপুর আরেকটা বড় দোষ। অথচ খোঁজ নিলে দেখবেন, সে তার এলাকার সালমান মুক্তাদিরমাত্র। ক্লিয়ার অ্যান্ড সিম্পল।

৩. `সেলিব্রেটি`। অপুর আরেকটা বড় দোষ, সে একজন `সেলিব্রেটি`। এইটা এমন এক ফেনোমেনা, যা মাইনা নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের মেইনস্ট্রিম মিডিয়ারও নাই। তাই তারা নিউজে লেখে: `কথিত সেলিব্রেটি`।

অপুদের সেলিব্রেটি হইয়া ওঠার গল্পটা মজার। সোশাল মিডিয়া, ভিজুয়াল মিডিয়ার জগতে একটা বিপ্লব বিশেষ। সেলিব্রেটি হয় কীভাবে মানুশ? আপনারা ভাবতেন আগে, মেধা থাকলেই লোকে সেলিব্রেটি হয়। কিন্তু পড়ে বুঝলেন যে, না। সেলিব্রেটি খালি হয়ই না, সেলিব্রেটি আসলে বানানোও হয়। মিডিয়া সেলিব্রেটি `বানায়`। এই সেলিব্রেটি আর কালচার `বানানো`র প্রক্রিয়ায় এতদিন দেশের কতভাগ মানুশ বাদ পইড়া ছিল, হিশাব আছে নাকি?

হিশাবটা আগে ছিল বইয়ের ছুরতে; মানে প্রিন্ট মিডিয়ায়। `বটতলার পুঁথি` বা `কাশেম বিন আবুবাকার`র ছুরতে। ভিজুয়াল মিডিয়ায় এই হিশাবটা শুরু হয় সোশাল মিডিয়ার যুগেই। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার `বানানো` প্রক্রিয়ায় যাদের সেলেব হওয়ার কোনই আশা নাই, তারা দেখে যে, এইখানে খুব সহজেই সেলেব হওয়া যাইতেছে; নিজেদের মত গল্প দিয়া, নিজেদেরই নায়ক-নায়িকা বানানো যাইতেছে। জাস্ট একটা ভিডিওই তো!

শর্টফিল্ম হয়, নাটক হয়, মিউজিক ভিডিও হয়। হিরো আলমের মত লোকেরা এইগুলায় অবদান রাখেন। এইসবের হাত ধইরাই টিকটক। এখন, ফেসবুকে বা টিকটকে কে ভাল কে খারাপ— এইটা জাজ করার তো উপায় নাই। এইখানে নাম্বার ম্যাটারস— কত লাইক, কত কমেন্ট, কত শেয়ার। মানে, এই প্ল্যাটফর্মগুলার একটা হিডেন প্যাটার্নই হইছে জাতিরে নানাবিধ সেলিব্রেটি উপহার দেওয়া।

যেহেতু ভদ্রলোকেরা টিকটক চালায় না, `ক্ষ্যাত` সেজন্য, ফলে বাঙলাদেশে অপু ভাইরাই টিকটকের প্রধান আকর্ষণ। আগে ইউটিউবে যেমন ছিল মুক্তাদিররা। তারা তো সেলিব্রেটিই। কিন্তু এইটা মানা খুব কষ্টের। `সেলিব্রেটি` শব্দের যে `চেতনা` এইখানে তৈয়ার আছে, সেই চেতনায় আঘাত। এই সেলিব্রেটি চেতনায় আঘাত আপনি আরো অনেক ফর্মে পাবেন। কেউ ফেসবুকে লেখে দুইটা লাইক বেশি পায়, লোকে তার লেখা শেয়ার দেয়— ব্যস! ফেসবুক সেলিব্রেটিরা সমাজের কতবড় ক্ষতির কারণ, এগুলা নিয়া গবেষণা করেন আমাদের টকশোজীবী ও `মেইনস্ট্রিম সেলেব`রা। ওয়েব মিডিয়ারে ভয়াবহ ক্ষতি ভাবেন টিভিওয়ালারা; এমনকি তাদের বিরুদ্ধে `অশ্লীলতা`র অভিযোগ আনেন। এই হইল অপুর আরেকটা বড় অপরাধ।

৪. বস্তির পোলা। অপু ছোটলোক, এইটা তো একটা সমস্যাই। কথায় কথায় এরে বস্তির পোলা বলে প্রায় সমস্ত লোক, খেয়াল করলাম। কিন্তু অপু `বস্তির পোলা`, এইটাই মূল রাগ না।

অপু যদি বস্তির পোলা হইয়া রিকশা চালাইত? চা বেচতে বেচতে দশ হাজার টাকাভর্তি মানিব্যাগ ফিরায়ে দিত কোন বড়লোকরে? তাইলে সবাই সাবাশিই দিত। অপুর সমস্যা হইল, অপু তার ওই `বস্তিমার্কা` খোমাটা নিয়া বাইক হাঁকায়, ১০/১২ টা মাইয়া নিয়া ঘোরে, সেসব মাইয়াও আবার কেমন `ক্ষ্যাত`। এগুলা অনেকেই করে এই সোসাইটিতে, গাঁজা নিয়া অহরহ মারামারি করে ঢাবি আর বুয়েট। কিন্তু অপুর করাটা চোখে লাগে। তার করাটা `কুল` লাগে না, হাসি আসে। রাগ লাগে।

৫. অপু যাদের মারছে, তারা `ভদ্রলোক`। অপু-মামুন কিন্তু কয়দিন আগেও মারামারি করছে। ওই ঘটনায় আমরা খালি মজাই নিছি, কারণ যারা মাইর খাইছে তারা ছিল অপুর `ফ্যান`। এখন যে `অপুর ফ্যান`, ওর তো মাইরই খাওয়া উচিত, না? কমনসেন্স কী কয়? ও অপুর ফ্যান, এইটাই তো বিরাট দোষ। ফলে, ওর আর আলাদা কইরা দোষ করা লাগে না। ওর এখন আর কোন নাগরিক অধিকার, বা অন্য কিছুই নাই। অরা অরা মারামারি করলে সেইটা নিয়া একটাই কাজ করা যায়— মজা নেওয়া। `ভদ্রলোক`দের সাথে যখন মারামারি, তখনই যেন সবার `চোখে পড়ল` সমস্যাটা।

৬. বাঙালি কালচার ও চেতনার বিকৃতি। এইটা নিয়া বিশেষ বিস্তারিত কিছু বলার নাই, এই অভিযোগটা তো খুব কমনই।

দুই. অপু সাধু মানুশ না। এই নতুন `টিকটক সেলেব`রা একটা গ্যাং কালচার গইড়া তুলতেছে-মর্মে খুব শক্ত একটা অভিযোগ অপুর বিরুদ্ধে আছে। অপু-মামুনের মারামারি বা কালকে অপুর ফ্যানদের রাস্তায় মারামারি ওই গ্যাং কালচারেরই অংশ। আংশিক সত্যও ব্যাপারটা। কিন্তু পুরা সত্যটা কী?

পুরা সত্যটা হইল, গ্যাং কালচার নাই এমন এলাকা বাঙলাদেশে এখন খুঁইজা পাওয়া মুশকিল হবে। বিশেষত, অপুরা যেখানকার লোক, সেই গ্রাম এলাকাগুলায়। প্রত্যেকটা গ্রামে আছে এই কালচার। বড় ভাইর সামনে বিড়ি খাওয়া থিকা নিয়া ক্যারাম খেলায় জয়-পরাজয়— যেকোন ঘটনায় আপনি আহত থিকা নিহত হইতে পারেন এদের হাতে। এই আওয়ামী সরকারের সেকেন্ড টার্ম থিকাই আমরা মুহুর্মূহু এসব গ্যাং কালচারের খবর পাইছি বিভিন্ন এলাকায়। তাদের নানান অপকর্মের তালিকা দীর্ঘ, ধরনও ভয়াবহ। এগুলা একটা বড় কন্সার্নের বিষয়। সেই কন্সার্নরে আমরা জয় করব কীভাবে? আপাতত অপু আর মামুনের টিকটক বন্ধ কইরা।

যেন, টিকটক বা অপু-মামুনরাই এই গ্যাং কালচারের হোতা। আসলে কি তাই? না কিন্তু। অপু-মামুনের টিকটক কালচার বাঙলাদেশে গইড়া ওঠা `কিশোর গ্যাং`-এর একটা খুবই সাম্প্রতিক একটা ক্ষুদ্র রুপ। এই রুপটার প্রতি মানুশের রাগ ও বিরক্তি ঠিক আছে। কিন্তু, এইটারেই যারা `কিশোর গ্যাং` কালচার দমনের একমাত্র উপায় ভাবতেছেন, বা এইটার ব্যাপারে খুব সরব, কিন্তু বাকিগুলার ব্যাপারে নীরব— তারা কেন ও কীভাবে করতেছেন এইটা?

কিশোর গ্যাং অনেকটা সহজাতভাবেই গইড়া ওঠে। কিন্তু এর সিস্টেমেটিক প্রতিপালন এখন শুরুই হয় ছাত্রলীগ বা এলাকার ক্ষমতাসীন কোন ব্যক্তির ছত্রছায়ায়৷ সবাই জানে এগুলা। আমরা সেগুলা নিয়া কিছু বলতে পারব? না মনে হয়। অপু-মামুনদের গ্যাংয়ের ধরনটা ছিল অরাজনৈতিক; এখন এই গ্যাংগুলার পলিটিসাইজেশন হবে মাত্র। অপুর মত `ভয়াবহ` লোকেরা টিকটক না করলে কী করবে? `খেটে খাওয়া মামা` হবে? মনে হয় না। এই ঘটনায় অপুর শিক্ষা হবে। সে অ্যাপলিটিকাল থিকা আস্তে আস্তে পলিটিকাল হবে। সে তার সাপোর্ট খুঁজবে। বা তার মত আরো যারা আছে। তাদের জন্য সোজা কাজটা। তাইলে, তারে জেলে ভইরা কারে হেল্প করলাম আমরা? বা, তার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলেই সব বন্ধ হবে, এই আইডিয়া ক্যামনে পাইলাম?

আচ্ছা, তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলাম কেন আমরা? রাস্তায় মারামারির কারণে কারুর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা যায়? মজার ব্যাপার দেখেন, অপুর অ্যাকাউন্ট কিন্তু পুলিশ বন্ধ করতেছে না। ফেসবুকের `সাইবার-৭১` নামের একটা পেজ এই উদ্যোগ নিছে। তারা টিকটকের রেজিওনাল হেডের সাথে আলাপ করতেছে এই ব্যাপারে। সম্ভবত `ছোটলোক` টিকটকারদের ব্যাপারে আরো কিছু বাতেলা তারা দেবে। তো, এইটা ডিজিটাল আইন হইল কিনা হালকা? সাইবার-৭১`র কি এ ব্যাপারে কোন আইনি এখতিয়ার আছে, নাকি অপুর মত একজনের কেস দেইখাই তারা এইটা করতে পারতেছে?

সাইবার-৭১`র অভিযোগটা কী? সময় নিউজ তাদের একজনের বরাতে জানাইতেছে— `অপু-মামুনসহ বিকৃত ভিডিও প্রস্তুতকারীদের বিষয়ে টিকটকের আঞ্চলিক প্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছে।` মানে, খালি অপু-মামুনই শেষ না, `বিকৃত ভিডিও` হইল আসল অভিযোগ। তাইলে হামলা বা গ্যাং খুবই সেকেন্ডারি ব্যাপার, প্রাইমারি কন্সার্ন হইল এই `বিকৃত ভিডিও`। `বিকৃত ভিডিও`ই সবকিছুর জন্য দায়ী, মারামারিটা এমনকি অভিযোগের তালিকায়ই নাই এদের।

`বিকৃত ভিডিও` কী জিনিশ— এই ছুয়াল তো আছেই। অপুর ভিডিওগুলা কেন খারাপ লাগে মিডলক্লাশের? সে কিন্তু কোন খারাপ কথা বলে না, `অশ্লীল` কন্টেন্টও বানায় না। সে জাস্ট কিছু বাণী, যেগুলার মূল ভাবার্থ আবার মিডলক্লাশের খুব প্রিয় (যেমন: মা`রে নিয়া বলা কথা, বা এক্সরে নিয়া তামাশা), সেগুলা নিজের স্টাইলে বলে। ভাবলে দেখবেন, তার কন্টেন্টের চাইতে, এই স্টাইল নিয়াই সবার সমস্যা বেশি আসলে। স্টাইলটা `কালচার্ড` না। `কুল` না।

আবার, এর আওতায় কেন জাকি লাভ বা মুক্তাদিরের কোন ভিডিও পড়ে না, সেইটাও আরেক আলাপ।

সময় টিভি `গ্যাং কালচার`র অভিযোগটাও উল্লেখ করছে। তারা এইটা উল্লেখ করতেও ভোলে নাই যে, অপুর গ্রেফতারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাই ব্যাপক সন্তুষ্ট হইছে। অবস্থা এমন দাঁড়াইছে, অপুরে মাদক মামলায় ক্রসফায়ারেও দেওয়া যাইত এখন, যদি অপু আরো সিরিয়াস কেউ হইত। বাংলা ট্রিবিউনের কমেন্ট সেকশনে অনেকেই ক্রসফায়ারের দাবি জানাইছেও দেখলাম।

তিন.
যাহোক, মিডিয়া ট্রায়াল, মব জাস্টিস, মিডলক্লাশ সেন্টিমেন্ট— সবই অপুর বিপক্ষে। নানারকম গালাগালি খাওয়ার ঝুঁকি নিয়াও এই কথাগুলা বললাম। অপুদের ক্রসফায়ারে বা পুলিশে দিয়া, তাদের টিকটক আইডি বন্ধ কইরা যারা দেশটারে ভাল ও আদর্শ বানাইতে চান, দেশরে `গ্যাং-কালচার মুক্ত` করতে চান, তারা অনেকেই আসলে, জান্তে বা অজান্তে, এই ফ্যাসিবাদী সময়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চিন্তা, প্র‍্যাক্টিস ও কলকব্জাগুলারেই শক্তিশালী করতেছেন। আপনি মিলাইয়া দেইখেন। কিন্তু এগুলা কইরা আর সোসাইটিরে `শুদ্ধ` করা যাবে না। ওইসব দিনের.... মারা অনেক আগেই সারা হইছে।

লেখক: কলামিস্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী