পরমাণু বিজ্ঞানী শেখর বসুর আজ মৃত্যুদিন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২

প্রখ্যাত ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী শেখর বসুর আজ মৃত্যুদিন। ২০২০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান। ১৯৫২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিহার রাজ্যের মজফফরপুরে তার জন্ম।

বিদ্যালয়ের পড়াশোনা কলকাতার বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাই স্কুলে। বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে চলে যান মুম্বইতে। ১৯৭৪ সালে মেক্যানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ বীরমাতা জিজাবাই টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে।

এর পরে তিনি যোগ দেন ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের প্রশিক্ষণ স্কুলে। এক বছর পর ১৯৭৫ সালে রিঅ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে গবেষণায় যুক্ত হন। ভারতের প্রথম পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন ‘আইএনএস অরিহন্ত’র স্থপতি তিনি।

পরমাণু গবেষক হিসেবে তিনিই ওই সাবমেরিনের জটিল রিঅ্যাক্টরগুলি তৈরি করেন। এছাড়া শুধু গবেষণার কাজ নয়, তার মেধা ও পরিশ্রম তাকে পরবর্তীকালে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের অধিকর্তার পদে অধিষ্ঠিত করে।

পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব পাওয়ার পরই তিনি ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের অধিকর্তার পদ ছেড়ে দেন। এখানেই শেষ হয় না তার কর্মজীবন। জীবনের শেষ পর্যন্ত পরমাণু শক্তি নিয়ে গবেষণার কাজে তিনি নিয়োজিত ছিলেন।

ভারতের পরমাণু শক্তিমন্ত্রকের সচিব হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থাকার সময় তিনি ‘সার্ন’র প্রকল্পে ভারতের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় এবং মহাকর্ষীয় তরঙ্গ অনুসন্ধান সংক্রান্ত প্রকল্প ‘লাইগো’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

পরে দেশে পরমাণু বর্জ্য নিষ্কাষণের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন ও বিভিন্ন পরমাণু চুল্লি নির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন শেখর বসু। কর্মক্ষেত্রে অবদান ও সাফল্যে তিনি ২০০২ সালে ইন্ডিয়ান নিউক্লিয়ার সোসাইটি পুরস্কার এবং ২০০৬ ও ২০০৭ সালে আণবিক শক্তি কমিশনের বিভাগীয় পুরস্কার লাভ করেন।

জীবনব্যাপী গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৪ সালে ভারত সরকারের বেসামরিক সম্মান ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমির ফেলো ছিলেন। কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সাম্মানিক ডিলিট প্রদান করে ২০১৩ সালে।