প্রেমকাহিনি

পর্ব ৪

আশিক আকবর

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১২, ২০২১

কায়েস ওরফে কায়কাউসকে বোঝা এত সহজ নয় রাণী বাওবিআতি। যে মুহুর্তের সিদ্ধান্তে রাজা দামুহিআতের রাজ্য দখল কইরা নিতে পারে, তার হাত পা ডানা ও লিঙ্গ সম্পর্কে তোমাকে জানতে হবে। যদিও লিঙ্গ নারীর সর্বাঙ্গ জয় করার জন্য যথেষ্ট নয়। আর আমি নারীলিপ্সু নই, এটা সকল নারীই জানে। অথচ রাজ্যে রাজ্যে খ্যাতি আছে সম্রাট কায়কাউস লুচ্চা। পশুকামী। গেলমান মনোহর। এইগুলার সব মিথ্যা না। আবার সব সত্যিও না।

টুইনচা দুয়েন্দে খবর পাঠিয়েছে চিকিৎসক আলিয়ার মাধ্যমে, বাওবিআতি বিশেষ পানীয় প্রস্তুত করেছে, যা পুরুষের লিঙ্গ উত্থান সাময়িক সময়ের জন্য নাশ করে দেয়। এর সর্বোচ্চ মেয়াদ তিন দিন। এরপরেই আবার পুরুষের পুরো যৌনশক্তি ফিরে আসে। বুদ্ধিমতি নারীরা পুরুষকে বোকা বানাতেই এটা করে থাকে। কিন্তু নারী যদি এই আরক বা পানীয় পান করে তাহলে শে পরিণত হয় নিম্ফোম্যানিয়াক বা যৌন উন্মাদ কাতরতায়।

টুইনচা দুয়েন্দের রিপোর্ট পেয়ে মৃদু হাসলাম। কাঁধ নাড়তে নাড়তে দানা খুঁটতে থাকা শিকারি বাজপাখিটা উড়িয়ে দিলাম। এবং তীরের মুখে মাংস বিধিয়ে ধনুক টানলাম। টংকার তুলে ধনুক ছুঁড়ে দিলো তীর। ছোঁ মেরে বাজপাখিটি ছুটলো তীরের সাথে সাথে। তীর ও বাজপাখি দৃশ্যমান নেই আর। কায়কাউস তাকালো পাখি পালকের দিকে। তার মুখে আনন্দের আভা। বাজ ফিরে আসছে মাংস টুকরা নিয়ে। তীর উধাও। পাখিপালককে বললাম, দামুহিআতের দুইটা চোখ রাণী বাউবিআতির কাছে পাঠাও। এবং ব্যবহার করো এই বাজপক্ষীটাকে।

ভাস্কর রাসনিআটোকে আদবের সাথে সালাম পাঠালাম। থামলাম না কিন্তু। ফাজিল মন্ত্রী আলফেসোকে বললাম, ভাস্কর রাসনিআটোকে বলবে, বাওবিআতির প্রিয় পুরুষ সুলতানের ভাস্কর্য বানাতে, এবং তাতে যেন সুলতানের লিঙ্গ উত্থিত থাকে। চাইলে বা ইচ্ছা হলে বাওবিআতি যেন ভাস্কর্যের সাথে সঙ্গম করে নিজের কামকে বশে রাখতে ও উপভোগ করতে পারে।

বনরক্ষককে বললাম এমন কুঞ্জবন বানাতে, চাঁদের আলোতে সেটা দেখে যেন অকবিরও কবিতা লিখতে ইচ্ছা করতে। কামশীতলা নারীর মধ্যেও যেন কাম জাগ্রত হয়।

হঠাৎ অশ্বখুড়ের শব্দ পেলাম। হাত চলে গ্যালো তলোয়ারে। অবাক হবার পালা এলো কালো ঘোড়াটিকে দেখে। যা রাণী বাওবিআতির। কিন্তু তার পিঠে কেউ নেই। চঞ্চল হয়ে চিহিঁহিঁ রব তুললো কায়কাউসের শাদা ঘোড়াটি। সম্রাট কায়কাউসের নির্দেশে লাগাম খুলে দেয়া হলো শাদা ঘোড়াটির। ওটি কালোটির বিশেষ অঙ্গের গন্ধ নিয়ে নাক বিস্ফারিত করলো। এবং দুইটি ঘোড়া ছুটলো যুদ্ধক্ষেত্রের পাশের বনের দিকে। চলবে