বাংলাদেশের মানুষ ‘গণতন্ত্র’ পাবার যোগ্যতা রাখে না

তৌফিকুল ইসলাম পিয়াস

প্রকাশিত : এপ্রিল ১১, ২০২২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চ্যান্সেলর হিটলারের দাবড়ানি খেয়ে জার্মান নাগরিক আলবার্ট আইনস্টাইন প্রাণ হাতে নিয়ে জার্মানি থেকে পালিয়ে লন্ডন হয়ে চলে আসেন আমেরিকায়। সদ্য আমেরিকায় এসে অনেকটা বিপদেই পরে গেলেন তিনি। হাতে টাকা নেই। চাকরিও নেই। কী করা যায়! তার ওপর আমেরিকায় বৈধ কাগজপত্রও নেই। পলেটিক্যাল এসাইলাম করলেন আমেরিকায়, রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন।

যাই হোক, নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তখন শিক্ষক নিয়োগের একটি বিজ্ঞাপন দেখে ভাবলেন একটা দরখান্ত দিয়েই দিই, যা থাকে কপালে। যথারীতি ইন্টারভিও লেটারও চলে আসলো। গেলেন তিনি। সত্যি বলতে কি, প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আশায় ছিলেন যে, জার্মানি থেকে পালানো আইন্সটাইন যেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইন্টারভিও বোর্ডে তাকে প্রথম ও একমাত্র প্রশ্নটিই করা হয়েছিল, আপনি কত টাকা (পড়ুন ডলার) বেতন হলে আমাদের ভার্সিটিতে অধ্যাপনা করবেন?

ইউরোপের অধ্যাপকের মাইনে আর আমেরিকার অধ্যাপকের মাইনেতে যে বিশাল ব্যবধান থাকতে পারে, তা আইনস্টাইন জানতেন না। তার জানার কথাও নয়। আমেরিকার নিউ জার্সির প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির প্রধান আলবার্ট আইনস্টাইনকে তার দাবিকৃত বেতন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় আইনস্টাইন জার্মানির বেতনের সাথে হিসেব করে বছরে তিন হাজার ডলার দাবি করলেন। টাকার অংক শুনে ভার্সিটির প্রধান চুপ হয়ে গেলেন।

অন্যদিকে আইনস্টাইন ভাবছেন, তিনি হয়তো প্রধানের কাছে কিছুটা বেশি বেতন চেয়ে বসলেন। যাই হোক, অবশেষে ১৫ হাজার ডলারে আইস্টাইনের বার্ষিক বেতন নির্ধারণ করা হয়। আইন্সটাইন আমেরিকায় পলেটিক্যাল এসাইলাম করে গ্রীনকার্ড ও পরবর্তীতে আমেরিকান সিটিজেনশীপ গ্রহণ করেন। তারপর এলো ১৯৫২ সাল। মধ্যপ্রাচ্যে অবৈধ দখলদার আগ্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল তাদের দেশের জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট খুঁজছে। সার্চ কমিটি ভেবে দেখলো ইহুদি আলবার্ট আইন্সটাইনের বিশ্বজোড়া নাম। তার মতো ব্যক্তিত্বকে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসাবে পাওয়া গেলে বেশ হয়।

যা ভাবনা, তা-ই কাজ। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক আলবার্ট আইন্সটাইনকে একটি চিঠি পাঠালেন যেখানে তাকে সরাসরি ইসরাইরি নাগরিকত্ব এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট পদ অফার করা হয়েছে। আলবার্ট আইন্সটাইন ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের বরাবরে ফিরতি চিঠিতে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, আমি বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। রাজনীতি আমি বুঝি না। কাজেই আমার পক্ষে প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব নয়।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজিব গান্ধী অক্সফোর্ডে পরার সময় প্রেমে পড়েন ইতালীয় কন্যা আরেক অক্সফোর্ড স্টুডেন্ট সোনিয়ার। প্রেম থেকে বিয়ে। তারপর ভারতেই থিতু হন এই দম্পত্তি। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তার দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হবার পর রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, রাজীব গান্ধীও নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। এবার কংগ্রেসের হাল ধরবে কে?

নেহেরু পরিবারের শেষ প্রজন্ম রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা তখনও যথেষ্ট ছোট। একমাত্র রয়েছেন রাজীবপত্নী সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়াকে চেপে ধরলো কংগ্রেস নীতি-নির্ধারকরা। এটা ১৯৯১ সালের ঘটনা। কংগ্রেসের সভাপতি এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবার অনুরোধ জানানো হলো সোনিয়া গান্ধীকে। কিন্তু ইতালীয় কন্যা ভারতীয় নাগরিকত্বপ্রাপ্ত সোনিয়া গান্ধি সেই প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিলেন। জানালেন, আমি এত বড় দায়িত্ব নেবার যোগ্য নই।

বাধ্য হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বানানো হলো পিভি নরসিমা রাওকে। এরপর ২০০৪ সালে কংগ্রেস আবারও লোকসভা নির্বাচনে বিজয়ী হলো। নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে ততদিনে সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি। বড় ব্যাবধানে বিজয়ী হলো কংগ্রেস সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে। সবকিছু ঠিকঠাক, এবার নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু সমালোচনা শুরু করলো বিজেপি দলটি। একজন বিদেশি (ভারতের বাইরে জন্ম নেয়া) কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবে? সোনিয়ার নৈতিক অধিকার নেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবার... ইত্যাদি।

অত্যন্ত আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব সোনিয়া গান্ধী। তার ইগোতে আঘাত লাগলো। তিনি শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসলেন। প্রধানমন্ত্রীর আসনে তিনি বসবেন না। তাকে প্রচণ্ডভাবে অনুরোধ করা হলো সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করার জন্য। কিন্তু সোনিয়া অনড়। পরপর দু’মেয়াদে ড. মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকলেন কংগ্রেস থেকে। অত্যন্ত জনপ্রিয় নারী সোনিয়াকে ভারত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেল না। এরমক ঘটনা খুব কমই পাওয়া যায়। এমন মানুষও খুবই কম পাওয়া যায়।

বর্তমানে বিশ্বে যোগ্যতা আছে কী নেই, গণমানুষ চাক বা না চাক, জোর-জবরদোস্তি বা মানুষ হত্যা করে হলেও ক্ষমতার আসনে বসে থাকার লোকের অভাব নেই। অনেক দেশেই আমরা দেখতে পাই, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য যেনতেনভাবে সংবিধান সংশোধন করে হোক, মানুষ হত্যা করে হোক, দিনের ভোট রাতে করে হোক, যে যেভাবে পারে সেভাবেই ক্ষমতা আঁকড়ে থাকে। এদের ন্যূনতম লজ্জাবোধও কাজ করে না। এমনকি বিশ্বের সবচে চাকচিক্যময় গণতন্ত্রের দেশ আমেরিকায়ও ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমরা দেখেছি কিভাবে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা থেকে শুরু করে কত রকমের তাণ্ডব চালিয়েছে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে।

ইমরান খান একজন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তি। তাকে চেনে না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই জন্মেছে। অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করেছেন তিনি। বিয়ে করেছিলেন বৃটিশ ধনকুবের ইহুদি গোল্ডস্মিথ পরিবারের মেয়ে জেমিমাকে। ইমরান খানের ব্যক্তিগত চারিত্রিক ইমেজ খুবই নোংরা ছিল তার যৌবনে। সেসব থাকুক। সবকিছু ঝেড়ে ফেলে ইমরান খান লম্বা সময় নিয়ে অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় শূন্য থেকে শুরু করে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আরোহন করেলেন। ক্ষমতায় আসার পর তিনি অনেক চমক দেখিয়েছেন, মুগ্ধ করেছেন কোটি কোটি মানুষকে। ইসলামোফোবিয়া নিয়ে সবচে সরব ছিলেন তিনি। তার মতো নেতা পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমি তাকে নিয়ে অনেকগুলো আর্টিকেল লিখেছি। তার প্রশংসায় আমি পঞ্চমুখ ছিলাম।

কিন্তু এই ইমরান খান মাত্র কয়েকটা সপ্তাহে যা করলেন, সেটা তার কাছ থেকে আমার মতো অনেকেই হয়তো আশা করেনি। ক্ষমতার মোহ ইমরান খানকে ‘অমানুষ’ বানিয়ে ফেলেছিল! কী প্রয়োজন ছিল তার রাজনীতির ‘নোংরা’ খেলাগুলো খেলার! ঠিক যেমন নোংরামী তিনি করেছেন তার পুরো যৌবনকাল জুড়ে? যখন তিনি দেখলেন যে, তার পক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য নেই, ভদ্রমতো যদি তিনি নিজে থেকেই পদত্যাগ করতেন, তাতে কি তার সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকতো না? তাতে কি তিনি আরও বেশি ‘বড়মানুষ’ হবার সুযোগ পেতেন না? তাতে কি তিনি পরবর্তী নির্বাচনে আরও একটা সুযোগ পেতেন না ফের নির্বাচিত হবার?  ইমরান খান নিজেকে অনেক কষ্ট করে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেটা তিনি ধরে রাখতে পারলেন না।

ইমরান খান আজ যা করলেন, ঠিক অনেকটা এমন খেলা আমরা এই বাংলাদেশেও দেখেছিলাম ১৯৯৪ সালে। তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া আর বিরোধী নেত্রী শেখ হাসিনা। তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ১৪৭ সংসদ সদস্য ২৮ ডিসেম্বর একযোগে জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে। কিন্তু সেই সময়ের বিএনপির স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী সাহেবও বেগম জিয়ার নির্দেশনায় সেই পদত্যাগপত্রগুলো ’গ্রহনযোগ্য নয়’ বলে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে ‘গো’ ধরে বসে থাকেন! অতপর এই ১৪৭ সদস্য সংসদে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

এভাবে টানা ছয় মাস পার করিয়ে বাধ্য হয়ে তাদের আসন শূণ্য ঘোষণা করেন স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী। ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও বেগম জিয়ার অঙ্গুলির ইশারায় সেই ৯০ দিনে উপ-নির্বাচন করেননি সেই সময়ের নির্বাচন কমিশন। এরপরের ঘটনা তো আমরা সকলেই জানি। ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি অত্যন্ত নোংরা নির্বাচন করে সেই ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি বাধ্য হয়ে তত্ববধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার বিল জাতীয় সংসদে পাশ করিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। এত এত নোংরা খেলা বেগম জিয়া যদি না খেলতেন, তাহলে কি বেগম জিয়ার ইমেজ আরও বেশি বাড়তো না? বেগম জিয়াকে অসম্মান করার কোনো জায়গাও তাতে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতো না যদি সেদিন তিনি সেই নির্বাচনটি না করতেন।

কিন্তু আলবার্ট আইন্সটাইন বা সোনিয়া গান্ধী কি সকলে হতে পারে? ভাবুন, পাকিস্তানে যদি আজ প্রধান বিচারপতির আসনে এসকে সিনহার মতো কোনো ’মেরুদণ্ডহীন জোকার’ বসে থাকতো, এবং সেনাবাহিনীর প্রধান হিসাবে যদি থাকতো ’জেনারেল আজিজগংদের’ মতো কেউ একজন? তাহলে ইমরান খানও কিন্তু অতি সহজেই পাকিস্তানিদের ঘাড়ে আজীবনের জন্য সাওয়ার হতে পারতেন! এবং হতেনও! কিন্তু পাকিস্তান রাষ্ট্রটি যে বাংলাদেশের মতো কোনো জিপিএ-পাইপ রাষ্ট্র নয়! বাংলাদেশে রাখাল বালক আতিয়ার রহমানের মতো একজন ’চোর’ সেন্ট্রাল ব্যাংকের গভর্ণর হতে পারে! সিনহার মতো ’থার্ডক্লাস টাওট’ হতে পারে চীফ জাস্টিস, আজিজের মতো ’সন্ত্রাসী’ হতে পারে সেনাপ্রধান এবং বেনজীরের মতো ’লম্পট ও খুনী’ হতে পারে পুলিশ বাহিনীর প্রধান। আর নির্বাচন কমিশনারের কথা নাই-ই বললাম!

কিন্তু পাকিস্তানে তা হওয়া সম্ভব নয়। পাকিস্তান এখনও অনেক মর্যাদাসম্পন্ন একটি দেশ। শুধু কি তাই? পাকিস্তান এই বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক ক্ষমতাধর মুসলিম দেশও। ইমরান খানকে আজ সম্মান জানাতে পারলাম না। কিন্তু রাষ্ট্র পাকিস্তানের প্রতি দাঁড়িয়ে সম্মান জানালাম। বাংলাদেশের মানুষ ‘গণতন্ত্র’ পাবার যোগ্যতা রাখে না। অতিসাম্প্রতিক দুটো ঘটনায় তা আরও পরিষ্কার হলাম। ইউক্রেন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। একটি স্বাধীন দেশে কোনো যুক্তিতেই অন্য একটি রাষ্ট্র আগ্রাসন চালাতে পারে না। অথচ বাংলাদেশের মানুষ আগ্রাসী রাশিয়ার সমর্থন করে যাচ্ছে। ভাবুন, সেই সব মানুষ আগ্রাসী রাশিয়ার সমর্থন করছে, যারা কিনা আবার ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে ‘আগ্রাসী ইসরাইলের’ বিরোধিতা করে। যেই যুক্তিতে ’আগ্রাসী’ রাশিয়াকে সমর্থন করা যায়, সেই একই যুক্তিতেই ‘আগ্রাসী’ ইসরাইলকেও সমর্থন করা উচিত আপনাদের।

আপনি তখনই ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানোর যোগ্যতা অর্জন করবেন যখন আপনি এই পৃথিবীর প্রতিটি আগ্রাসনের বিরোধিতা করবেন। আপনি আপনার সুবিধা মতো ‘সমর্থন’ করবেন, সেটা তো হবে না। অমন সমর্থন তো করে বাংলাদেশি চেতনাজীবীরাও। তারা বোরকার বিরোধিতা করে কিন্তু নগ্নতার সমর্থন করে। তারা টিপের পক্ষে গলা ফাটায় আবার হিজাবের ক্ষেত্রে তাদের গা জলে। আপনিও তাই হয়ে গেলেন! আপনার সুনির্দিষ্ট ‘আদর্শ’ থাকা লাগবে। আপনি যদি আগ্রাসনের বিরোধিতাকারী হোন, তাহলে আপনাকে বিশ্বের প্রতিটি আগ্রাসনের বিরোধিতা করতে হবে। আর যদি আপনি নির্যাতিতের পক্ষ নেন তাহলে আপনাকে প্রতিটি নির্যাতিতের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। যেখানে যা সুবিধে তার পক্ষে থাকলেও আপনি নিজেও চেতনাজীবী, আপনি নিজেও গো-মুত্রখোর হয়ে গেলেন! তাই নয় কি?

আপনি ইমরান খানের ক্ষমতাচুত্যিতে ব্যাথিত। অথচ আপনি একটিবারও ভাবতে পারছেন না যে, পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থাটিকে কতটা সম্মান করা উচিত! আপনি এটাও ভাবতে অক্ষম যে, ইমরান খান রাজনীতি নিয়ে যে নোংরা গেমটি খেললেন সেটা না খেললেই বরং কতটা সুন্দর হতো! তাতে বরং ইমরানের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যেত। আসুন আমরা আদর্শবাদী হই। যে কোনো আগ্রাসন, যে কোনো নোংরামির বিরোধিতা করি। এটাই ইসলামের শিক্ষা।