ভ্যাক্সিন পেয়েছি তাতে কি, মাস্ক আর হাত ধোয়া চলবে

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১০, ২০২১

কবি ও কথাসাহিত্যিক শামীমা জামান। যুক্তরাষ্ট্রে এখন তিনি সাস্থ্য বিভাগে কাজ করছেন ডা. ফেরদোউস খন্দকারের প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল কুইন্স আই পিএতে। এসেন্সিয়াল ওয়ার্কার হিসেবে পেয়েছেন কোভিড ভ্যাক্সিন। ভ্যাক্সিন নিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন তিনি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তার প্রতিষ্ঠান প্রধান ডা. ফেরদোউস খন্দকারকে। তার স্ট্যাটাসটি ফেসবুক থেকে হুবহু তুলে ধরা হলো:

সময়টা ভালো নয়। চারদিকে আবার শুরু হয়েছে সেই ভয়াবহ ঘটনাগুলো। চেনাজানা মানুষগুলোর কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর ভেসে আসছে। নিউজ ফিডে ভাসছে মৃত্যু। আজকাল কারো একক মুখের ছবি অন্যের ফেসবুক দেয়ালে ভেসে উঠলেই বুকটা কেঁপে ওঠে। হয়তো অন্য কোনো খবর। কিন্তু চলে যাবার খবর ভেবেই প্রথমটা আঁতকে উঠি। যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রায় প্রতিটি দেশেই কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ আগাম সতর্কবার্তাকে সত্যি করে ধেয়ে এসেছে। অনেক জল্পনা কল্পনার পর এসে গেছে ভ্যাক্সিনও। কিন্তু সাধারণ মানুষের মাঝে তা পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরো কত লাখ মানুষ আক্রান্ত হবে আর ক্রিজে টিকে থাকবে, তাতো মহান সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন।

আর কবেই বা পাবে বাংলাদেশের সব মানুষ! বাধ সাধবে না তো কোনো ভূ-রাজনীতির ভূত বা সাস্থ্য রাজনীতির দুষ্টুচক্র! নতুন জীবনে কাজ করছি এক নতুন পরিবেশে। যেটা হয়তো আমার ঘরানার নয়। তবু শিখতে পড়তে যেহেতু আমার ভালো লাগে, তাই এঞ্জয় করছি কাজটাকে। সেটা করতে পারছি হয়তো এখানের চমৎকার পরিবেশের জন্য। অসম্ভব বন্ধুবৎসল সহকর্মীদের জন্য। ডা. আসিফ, ডা. মারুফ, ডা. আরিফ, এলিগেন্ট শামীমা আপা, সদাব্যস্ত লিসা আপা, ইউটিউবার পাপিয়া ভাবি, হিউমার কুইন পলি আপা,আইটি স্পেশালিস্ট আব্দুল্লাহ, দ্য ডিভা তাহানী আপু প্রতিটি মানুষই অত্যন্ত সহযোগিতাপরায়ণ। আর এই সবার মাঝে বটবৃক্ষ হয়ে আছেন যে দুজন মানুষ তাদের কথা আরেকদিন লিখবো। দিনা খন্দকার ও ডা. ফেরদাউস খন্দকার।

এসেন্সিয়াল ওয়ার্কার হিসেবে আজ ভ্যাক্সিন পেলাম। আজ সারাদিন অফিসে নেব কি নেব না (যদি কোনো সাইড এফেক্ট হয়!) এই ভাবনায় আমরা কজন একটু নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ অনুভব করছি না। বাকিটা দেখা যাক। ধন্যবাদ ডা. ফেরদৌস খন্দকার। ভ্যাক্সিন পেয়েছি তাতে কি? মাস্ক আর হাত ধোয়াও চলবে। চলবে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং।