রাহমান চৌধুরীর কলাম ‘টিপ ও সংস্কৃতির কথকতা’

প্রকাশিত : এপ্রিল ১২, ২০২২

টিপ নিয়ে যা ঘটলো সেটা একটা ঘটনা বটে। লতা সমাদ্দারকে টিপ পরার জন্য পুলিশ অসম্মানিত করে, ভয় দেখায়। সবটাই ছিল পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার। টিপ পরা নিয়ে কটাক্ষ করাটা ছিল একজন মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। ব্যাপারটা নিয়ে বিরাট প্রতিবাদ হয়েছে, সেটাও খুব ইতিবাচক ঘটনা। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়? বহুজন বলতে চেয়েছেন, টিপ পরিধান করা বাংলাদেশের নারীদের সংস্কৃতি। কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন, হাজার বছরের সংস্কৃতি।

লতা সমাদ্দারকে যে টিপ পরার জন্য কটাক্ষ করা হয়েছে, তার সঙ্গে বাঙালির সংস্কৃতির কী সম্পর্ক? প্রশ্নটা আইনের জায়গা থেকে বা মানুষের অধিকারের জায়গা থেকে দেখাটাই কি সঠিক নয়? বাঙালির সংস্কৃতি না হলে টিপ পরার জন্য লতা সমাদ্দারকে কটাক্ষ করা বা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা কি ঠিক হতো? ধরা যাক, একজন বাঙালি নারী প্যান্টশার্ট পরিধান করে বের হয়েছেন, প্যান্টসার্ট বাঙালির সংস্কৃতি নয় বলেই কি সেই মহিলাকে কটাক্ষ করা যাবে? মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার হরণের সঙ্গে এই বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে হৈ চৈ করার কী আছে?

বাঙালির সবচেয়ে বড় সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য হচ্ছে বাংলা ভাষা, যে ভাষার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সেই বাংলা এদেশের শিক্ষার বাহন নয়। গণমাধ্যমে বাংলা বাদ দিয়ে ইংরেজি ভাষায় যখন অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়, তখন এই বাঙালি সংস্কৃতির চেতনাটা কোথায় থাকে? ভাষার চেয়ে একটা জাতির বড় সংস্কৃতি আর কিছু হতে পারে না, ভাষার মতো একটা জাতির দীর্ঘস্থায়ী সংস্কৃতি আর কোনোটাই নয়। সেটা নিয়ে এই বাঙালির চেতনাধারীরা চুপ থাকেন কেন? বছরে শহিদ মিনারে একদিন ফুল দিয়ে তাদের বেশির ভাগ দায়িত্ব সম্পন্ন করেন।

দ্বিতীয় প্রশ্নটি হচ্ছে, টিপ কবে থেকে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ? অতীত বাদ দিলাম, বর্তমানে বাঙালির কত শতাংশ নারী টিপ পরিধান করে? টিপ পরিধানের বিরুদ্ধে আমার বক্তব্য নয়। মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ নিয়ে আমাদের নেতিবাচক কথা বলার অধিকার নেই। নারী বা মেয়েরা টিপ পরলে আমার নিজেরই ভালোই লাগে। কিন্তু সেটা বাঙালির ঐতিহ্য কিনা সেটা জানতে যাই না। যার ভালো লাগবে অবশ্যই তিনি টিপ পরিধান করবেন, কিন্তু তারজন্য এই অজুহাত খুঁজতে হবে কেন যে, টিপ বাঙালির সংস্কৃতি বা হাজার বছরের সংস্কৃতি।


বাঙালির সংস্কৃতির বাইরে আমরা বহু কিছু পরিধান করছি, তাতে দোষের কী আছে? আমার জীবনের সবকিছুই হাজার বছরের সংস্কৃতি বা বাঙালির সংস্কৃতি হতে হবে কেন? সেটা কি কখনো হওয়া সম্ভব? গুলশানের বাঙালির খাওয়ার সংস্কৃতি আর গ্রামের মানুষের খাওয়ার সংস্কৃতি কি কখনো এক হবে? রাজধানীর অর্থবানদের সংস্কৃতি আর গ্রাম্যের দরিদ্র মানুষের সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে বিরাট ফারাক। ভদ্রলোকরা পান্তাভাত খান শখ করে, দরিদ্ররা পান্তাভাত খান বাধ্য হয়ে। দরিদ্ররা পান্তাভাত বা পরোটা-মাংস বা গরম ভাত খেতে পেলে কি পান্তাভাত খাবে।

ভদ্রলোকদের কাছে সেটাই নাকি বাঙালির সংস্কৃতি। বাংলার ধনী আর দরিদ্রদের জীবন যাপনের মধ্যে কোনটাকে বাঙালির সংস্কৃতি বলবো? সত্যিকার অর্থে শ্রেণিবিভক্ত সমাজে বাঙালির সংস্কৃতি বলে কিছু খুঁজে পাওযা যাবে? বাংলাদেশের ধনী বাঙালিদের সংস্কৃতি অনেকটা পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে, নিজ দেশের দরিদ্র বাঙালির সঙ্গে মেলে না। যখন সীমান্ত ভেঙে পড়ছে, সংস্কৃতির রূপও দ্রুত ভেঙে পড়ছে। সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের ধারণাগুলি গুলিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের মানুষে মানুষে সম্পর্কের ভিতর দিয়ে কতরকম সংস্কৃতি জন্ম নিচ্ছে, সেটা বিশ্ব মানবতার জন্য ক্ষতিকর কিনা, সেটাই দেখতে হবে।

সেটা হাজার বছরের পুরানো কিনা, সেটা দেখার দরকার নেই। গতকালকের সংস্কৃতিও মানুষের জীবনে বড় হয়ে উঠতে পারে। নতুন অর্থনীতি নতুন সংস্কৃতির বাহক। বিচার করতে হবে তা বৃহত্তর মানুষের জীবনে ক্ষতি বয়ে আনে কিনা। বয়ে আনলেও রাতারাতি সমাধান নেই।

কথায় কথায় আজকাল বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি কথাটা শুনতে হয়। ইতিহাসের জ্ঞান ছাড়াই আমরা যখন তখন এসব কথা বলে বসি। ‘হাজার বছর’ কথাটা আমাদের প্রায় সবার মজ্জায় ঢুকে গেছে, সব কিছুই তাই আমাদের হাজার বছরের হতে হয়। প্রশ্নটা হলো, পুলিশ লতা সমাদ্দারের সঙ্গে যা করেছে সেটাকে কীভাবে বিচার করবো? টিপটা কি বাঙালীর সংস্কৃতির ওপর হস্তক্ষেপ, নাকি একজন মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার এবং ব্যক্তিগত পছন্দের ওপর হস্তক্ষেপ? টিপ বাঙালির সংস্কৃতি না হলে কি আমরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকতাম? সংস্কৃতি কি সবসময় ইতিবাচক শব্দ? সংস্কৃতি কি আসলে সর্বদাই টিকিয়ে রাখতে হয়? সতীদাহ বহুদিনের সংস্কৃতি বলে টিকিয়ে রাখতে চাইলে কি সেটা ঠিক হবে? মানুষের সব সংস্কৃতি কি টিকিয়ে রাখা যায়? পুরানো সংস্কৃতি হারিয়ে গিয়েই তো নতুন সভ্যতা জন্মায়। না হলে মানুষ এখনো উলঙ্গ থাকতো, সেটাই তার প্রথম সংস্কৃতি।

পুরানকে ধ্বংস না করে নতুন সভ্যতার জন্ম হয় না। ‘সাঁওতালদের সংস্কৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে’, ‘গারোদের সংস্কৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে’ বলে বহুকাল ভদ্রসমাজকে মায়াকান্না করতে দেখেছি। মানে কি দাঁড়ালো? সাঁওতাল আগের অন্ধকার যুগে পরে থাকবে? তীরধনুক নিয়ে লড়াই করবে? হাতে বন্দুক ধরবে না? তাহলে আর তালিবানদের বিরুদ্ধে নালিশ কেন? বহুকালের সংস্কৃতি আফগানিস্তানের বোরকা বা পর্দা, তালিবানরা তা টিকিয়ে রাখতে চাইছে।

সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের ধারণাটা আবেগী, পিছনে যুক্তি নেই। ইতিহাস তো নয়ই। সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার মধ্যে যে ক্ষতি থাকে, প্রাচীনকে ধরে রাখার একটা ব্যাপার থাকে, এই সত্যটা এড়িয়ে গিয়ে খুব মায়াকান্না দেখাই আমরা? পহেলা বৈশাখ নিয়ে যেমন আমাদের আদিখ্যেতা আছে। কথায় কথায় বলছি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস। না জেনেই এসব বলি। পহেলা বৈশাখ কি কেবল বাঙালির? নাকি বিশ্বের আরো অনেক জাতির আর অনেক দেশের? ভালো করে জানি না এর শুরুটা কবে, আর কীভাবে তা বিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু বলেই চলেছি বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি বা হাজার বছরের উৎসব। বাঙালির উৎসব এটা কবে থেকে? পহেলা বৈশাখ পালিত হয় শ্রীলঙ্কায়, মায়ানমারে, থাইল্যান্ডে ভারতের প্রায় সবগুলি প্রদেশে। অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে যেদিন ব্রিটিশ শক্তি গুলি চালায় সাধারণ মানুষের ওপর, সেদিনটা ছিল সেখানে পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখের মেলায় গুলি চালিয়েছির ব্রিটিশরা। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর নতুন ধরনের এক পহেলা বৈশাখ বা পুণ্যাহ হতো, সেটা সোয়া দুইশো বছরের ঘটনা। পহেলা বৈশাখের সেই উৎসবটা ছিল বাংলার নিষ্ঠুর জমিদারদের উৎসবের দিন, বাংলার নির্যাতিত কৃষকদের উৎসবের দিন নয়। সেটা ছিল ধনীদের উৎসব।

জমিদার মহাশয়রা যে পহেলা বৈশাখের উৎসব করতেন, সেখানে অর্থ জোগাতো সাধারণ দরিদ্র কৃষক। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বঙ্গদেশের কৃষক’ পড়লে দেখা যাবে, কতরকম কর তাদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে আদায় করা হতো। পহেলা বৈশাখের আগের দিন জমিদারের সকল পাওনা কৃষককে খেয়ে না খেয়ে শোধ করতে হতো। না করতে পারলে কৃষক এবং তার পরিবারের ওপর অত্যাচার নেমে আসতো। বাংলার পহেলা বৈশাখ কৃষকদের জন্য উৎসবের দিন নয়। যতই আমরা এটা নিয়ে হাজার বছরের বড়াই করি না কেন, এটা ধর্মনিরপেক্ষ কোনো উৎসবও নয়। রবীন্দ্রনাথের জমিদারি নিয়ে বিভিন্ন লেখা পাঠ করলে দেখা যাবে, রবীন্দ্রনাথে জমিদারিতে সেদিন ব্রাহ্মরীতিতে উপাসনা এবং হিন্দুরীতিতে পূজাই হতো। মুসলমান কৃষকদের সেদিন সেখানে উপস্থিত থাকতে হতো। মুসলমান কৃষকদের সেদিন কত ছোট করে রাখা হতো তার প্রমাণ পাওয়া যাবে রবীন্দ্রনাথের বাপদাদার জমিদারির কাগজপত্র ঘাটলে।

রবীন্দ্রনাথ সে অবস্থাটা ভাঙতে চেষ্টা করেন। তিনি পুরানো অনেক নিয়ম ভেঙে দেন। কিন্তু অন্য জমিদাররা কী সবাই তাই করেছেন? কৃষকরা পহেলা বৈশাখ তাদের নিষ্ঠুরতার বলি হতেন। মনে রাখতে হবে সেজন্য, নতুন প্রয়োজনে পহেলা বৈশাখ উৎসব হিসেবে পালন করা ভালো। কিন্তু হাজার বছরের সংস্কৃতি হিসেবে পালন করতে গেলে আর ধোপে টিকবে না। সেই ইতিহাসটা হয়ে দাঁড়াবে শাসকশ্রেণির অন্যায়ের ইতিহাস, আর তা মোটেই ধর্মনিরপেক্ষ নয়।

বাংলাদেশের নারীরা এখন যে শাড়ি পড়ছে, যদি কেউ বলে এটা হলো হাজার বছরের ইতিহাস, সেটা হবে ইতিহাস বিকৃতি। কারণ বাঙালিরা যে শাড়ি পরিধান করতেন হাজার বছর আগে তা আজকের মতো কুঁচি দিয়ে নয় আর তখন ব্লাউজ আর সঙ্গে অন্য কিছু পরবার ধারণাটাই ছিল না। নারীরা তখন শরীরে শাড়ি নামক একখণ্ড কাপড় জড়িয়ে রাখতেন। রবীন্দ্রনাথের মা-দাদিরাই তাই করতেন। সেসময়ে সেই শাড়ি নারীর শরীর সবসময় ঢাকতে ব্যর্থ হতো বলেই, ভদ্রঘরের পুরুষরা দিনের বেলায় অন্দরমহলে ঢুকতে পারতেন না। রবীন্দ্রনাথের পরিবারেই সেই নিয়ম ছিল, পুরুষরা রাতে ছাড়া অন্দরমহলে ঢুকতে পারবেন না। বাংলার নারীদের আজকের মতো শাড়ি আর ব্লাউজ পরিধান করা শিখিয়েছেন জ্ঞানোদানন্দিনী দেবী। তিনি রবীন্দ্রনাথের বৌদি, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী। জ্ঞানোদানন্দিনী সেটা শিখেছিলেন মুম্বাই থেকে। যখন সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সরকারি চাকরির কারণে সেখানে অবস্থান করতেন, মুম্বাইয়ের ধনী মহিলাদের বিশেষ ধরনের একটা পোষাক পরিধানকে কিছুটা রূপান্তর ঘটিয়ে এটা করা হয়। কিন্তু সেইরকম সৃষ্টিশীল পরিবারে কজন কোলে টিপ পরতেন একবার খোঁজ নিতে পারেন। টিপকে যারা বাঙালির সংস্কৃতি বলে হৈ চৈ করছেন, তারা সেটা খোঁজ নিলে ভালো করবেন। রবীন্দ্রনাথের পরিবারে টিপ পরা মানুষ পাবেন খুবই কম। রবীন্দ্রনাথের পরিবার ছাড়াও তৎকালে বাংলার কজন নারী টিপ পরতেন সেটার পরিসংখ্যান নেয়া গেলে নিজেরাই বুঝতে পারবেন, টিপকে বাঙালির ঐতিহ্য বলা যাবে কিনা।

খুব ছোটবেলায় আমরা দেখেছি, এখনো অনেকে জানবেন যে, গ্রামবাংলায় এবং শহরেও শিশু জন্মালে, নারী বা পুরুষ যেই হোক, সেই শিশুকে সর্বক্ষণ প্রায় কপালে কালো কাজলের টিপ পরিয়ে রাখা হতো। এর কারণ হলো, সেই শিশুর ওপর যাতে কারো কুনজর না পড়ে। এগুলো ছিল হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে গ্রাম বাংলার সংস্কার। হিন্দু পুরোহিতরা তিলক দেন কপালে। সেটাও সেইরকম ভাবনার জায়গা থেকে। সন্ধ্যার সময়ে বাংলার গ্রামে তখন কোনো অন্তঃসত্তা নারীকে পুকুর পাড়ে বা বনে বাদারে যেতে দেয়া হতো না, অলৌকিক পিশাচদের কুনজর পড়বে বলে। বর্তমানে এসব খুব একটা প্রচলিত নেই। বিজ্ঞানের আলো যত প্রবেশ করছে তত এগুলি দূর হচ্ছে। কিন্তু ভদ্রলোকরা অনেকেই এসবকে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এসব কথা বলে টিকিয়ে রাখাতে চাইছেন। কথাটা হলো এদের সঙ্গে প্রাচীনপন্থীদের পার্থক্য কোথায়? কট্টরদের সঙ্গে পার্থক্য কোথায়? পুরোনো বেশির ভাগ ঐতিহ্যের সঙ্গেই ধর্মের সম্পর্ক আছে। সবক্ষেত্রে সেটা খারাপ কিছু নয়। ধর্ম মানুষকে আলোকিত হবার জন্য বহু কিছু দিয়েছে। বিরাট তালিকা দেয়া যাবে তার। সবটা যে তার গ্রহণযোগ্য তাও নয়। বিভিন্ন ধর্মও বিভিন্ন জাতির বিরাট ঐতিহ্য। সেসব ঐতিহ্য ফেলনাও না। কিন্তু আজ আমরা কি সেইসব বিশ্বাসগুলি টিকিয়ে রাখবো? মানব সভ্যতায় ধর্মের আছে বিরাট অবদান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধর্মের ভূমিকা পাল্টেছে। সেজন্য এখন আর নতুন ধর্মের আবির্ভাব ঘটে না। কিন্তু ধর্মের ইতি আর নেতি, তার সবটাই বুঝতে হবে বিজ্ঞানমনস্ক চোখ দিয়ে। বিজ্ঞানমনস্কতার ভিতর দিয়ে সত্যিকারের হিসাবটা মেলানো যায়। সস্তা আবেগ আর সস্তা শ্লোগান আমাদের বিপরীত দিকে, ক্রমাগত পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যায়।

লেখক: প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ