উইলিয়াম ফকনারের সাক্ষাৎকার

ভাষান্তর: এমদাদ রহমান

প্রকাশিত : আগস্ট ০৪, ২০১৮

উইলিয়াম ফকনার বিশ্বসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ লেখক, যিনি লিখেছেন `দ্য সাউন্ড অ্যান্ড দ্য ফিউরি`, `অ্যাজ আই লে ডাইং`, `লাইট ইন অগাস্ট`, `আবসালোম, আবসালোম!`— বিশ্বখ্যাত এই উপন্যাসগুলি, আর অজস্র ছোটোগল্প। ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর করা বিশ্বসেরা একশো বইয়ের তালিকার মধ্যে স্থান পেয়েছে তার ‘আবসালোম, আবসালোম!’; উপন্যাসটি ১৯৩৬-এ প্রকাশিত হয়েছিল। ফকনার নোবেল পেয়েছেন ১৯৪৯ সালে। ১৯৫৫ সালে `এ ফেবল` উপন্যানের জন্য পান `জাতীয় গ্রন্থ পুরস্কার`, পরে এ উপন্যাসের জন্য তাকে পুলিৎজার পুরস্কারও দেয়া হয়।

ফকনারের জন্ম আমেরিকার মিসিসিপিতে, ১৮৯৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, মারা যান ১৯৬২ সালের ৬ জুলাই। কর্মজীবন বিচিত্র অভিজ্ঞতায় পূর্ণ। কম ওজন এবং দরকারি শারীরিক উচ্চতার সমস্যার কারণে সেনাবাহিনী থেকে প্রত্যাখ্যাত হন; প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে রয়াল এয়ার ফোর্স কানাডায় যোগ দেন, কিন্তু যুদ্ধে অংশ নেয়ার আগেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। যুদ্ধের পর তিনি বিভিন্ন জায়গায় কেরানির চাকরি করেন, তারপর ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজে যোগ দেন।

ভিদা মার্কোভিচ, বেলগ্রেড ইউনিভার্সিটি`র ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ১৯৬২ সালে ভার্জিনিয়ায় ফকনারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। সেই আলাপচারিতা ছাপা হয় টেক্সাস স্টাডিজ ইন লিটারেচার অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ-এর শীত সংখ্যায়, ১৯৬৪ সালে; সাক্ষাৎকারটি পরে সংকলিত হয় জেমস বি মেরিওয়েদার এবং মাইকেল মিলগেট সম্পাদিত `লায়ন ইন দ্য গার্ডেন ইন্টার্ভিউ উইথ উইলিয়াম ফকনার` বইয়ে।

ভিদা মার্কোভিচ: ফকনার, আপনার সঙ্গে আজকের সাক্ষাতের এই দিনটির অপেক্ষায় উদগ্রীব হয়ে ছিলাম। আপনাকে এ-কথাটি জানানো চাই, যুগোস্লাভিয়ায় যে বিপুল সংখ্যক মানুষ আপনার লেখা পড়ে আর শ্রদ্ধা করে তা জানলে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। আজ আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আপনার ভার্জিনিয়া সত্যিই খুব সুন্দর, মনোরম আর নানারঙে উজ্জ্বল। আমার ধারণা, আমি আপনার কাজকে, উপন্যাসের চরিত্রগুলিকে এবং আপনাকেও অনুধাবন করতে পারব যখন এটা কল্পনা করব যে, তারা সবাই এই ভার্জিনিয়াতেই ছিল আর এখানেই আপনার কলমে তাদের দ্বিতীয় জন্ম হয়েছে। ভার্জিনিয়াকে খুব পছন্দ করেন আপনি, তাই না?
উইলিয়াম ফকনার: আমি শেয়াল-শিকার পছন্দ করি (দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রগাঢ় উচ্চারণে খুব সংক্ষেপে প্রশ্নটির উত্তর দিলেন ফকনার)।

ভিদা মার্কোভিচ: কোন প্রাণিগুলি আপনার পছন্দের?
ফকনার: ঘোড়া আর কুকুরগুলি আমার খুব পছন্দের।

ভিদা মার্কোভিচ: তাদেরকে কি খুব বেশি পছন্দ করেন?
ফকনার: আমি আসলে বুদ্ধিমান প্রাণিদেরকে পছন্দ করি। ঘোড়া অত্যন্ত বুদ্ধিমান প্রাণি তেমনি কুকুরগুলিও, প্রখর বুদ্ধিমান কিন্তু ইঁদুরের মতো বুদ্ধিমান প্রাণিদেরকে আমার পছন্দ নয়।

ভিদা মার্কোভিচ: ইঁদুরদের সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না, তবে শুনেছি শুয়োর খুবই বুদ্ধিমান। আমার বাবা একজন কৃষিতত্ত্ববিদ। মাটি পরীক্ষা করতে করতে আমাদেরকে বলতেন, শুয়োর হচ্ছে প্রাণিদের মধ্যে অতিবুদ্ধিমান। ফকনার, আপনি প্রকৃতি ভালোবাসেন, প্রকৃতির মাঝে থাকতে ভালোবাসেন কিন্তু শহরে থাকার পক্ষে নন, তাই না?
ফকনার: নগর জীবনের ব্যস্ততা, তাড়াহুড়ো কিংবা অবিরাম ছুটোছুটি আমার ভালো লাগে না। আমি চাই অবারিত শান্তি আর নৈঃশব্দ্য।

ভিদা মার্কোভিচ: কিন্তু আপনাকে তো প্রায়ই শহরে যেতে হয়।
ফকনার: না-না, তেমন একটা যেতে হয় না।

ভিদা মার্কোভিচ: তাহলে এখানেই সময় কাটে, সমস্তরকমের লেখালেখি এই এখানেই?
ফকনার: না, আমি এখন কিছু লিখছি না। কারণ এখানকার জমিতে অনেক কাজ পড়ে আছে। দেখুন, এখানে এই ভার্জিনিয়ায় আমি শীতকালের পুরোটাই কাটাই, গরম পড়তে শুরু করলে চলে যাই অক্সফোর্ড আর মিসিসিপিতে। এখানে আমার একটি খামার আছে, মাটি তৈরি করতে হবে।

ভিদা মার্কোভিচ: এখানে কী কী ফসল ফলাবেন?
ফকনার: কার্পাস তুলা আর গম। ফলমূলের চাষ তেমন একটা করি না। তেমন পয়সা আসে না।

ভিদা মার্কোভিচ: শহরে থিয়েটার কিংবা সিনেমা দেখতে যান না?
ফকনার: না। যদি ঘোড়ায় চড়ে কখনও শহরের থিয়েটারে যাওয়ার সুযোগ পাই, তখন যাব। আমি ঘোড়ায় চড়তে ভালোবাসি কিন্তু গাড়ি করে যেতে মন মোটেই সায় দেয় না। কল্পনা করে দেখুন, যদি এমন হয়, আপনি ঘোড়া নিয়ে সোজা থিয়েটার হলের ফটকের কাছে চলে গেছেন, পাহারারত লোকটিকে বলছেন ঘোড়াটিকে সুবিধামতো জায়গায় পার্ক করে রাখতে, গাড়িগুলিকে যেভাবে রাখা হয়, তাহলে কেমন হবে? কেমন এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে, তাই না? এজন্য আমার কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না।

ভিদা মার্কোভিচ: আপনার কথা থেকে খুব সহজেই বোঝা যায় যে, আপনি শহরকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু আমি আমার অদম্য কৌতূহলকে কিছুতেই দমাতে পারি না বলে শহরের এখানে-ওখানে ঢুঁ মারি; দেখতে চাই, কোথায় কী ঘটে চলেছে। মানুষের জীবনযাপনে কী কী পরিবর্তন আসছে। ফকনার, শিল্পায়নের যুগের এই বর্ণহীন জটিল জীবনপদ্ধতিটি আপনার হয়তো একদমই ভালো লাগবে না। কিন্তু এই যে মানুষের কর্মব্যস্ততা, অবিরাম দৌড়— এসব আপনার কেমন লাগে?
ফকনার: কিছুই বদলাবে না, বদলায় না; কোনও শিল্পায়নই মানুষকে বদলাতে পারবে না। স্মরণকালের মধ্যে দেখা যাচ্ছে, মানুষ বদলেছে খুব কম। এখন অনেকেই শহরে ভিড় জমিয়েছে, আগে তারা গ্রামে থাকত; কিন্তু তারুণ্য তো তারুণ্যই। তারুণ্যের বদল নেই। আমি যখন তরুণ ছিলাম তখন আমিও এরকম বিরতিহীন উদ্দাম জীবন পছন্দ করতাম। আমার তারুণ্যে আমি আমেরিকাসহ সারা দুনিয়া চষে বেড়িয়েছি। প্রতিটি জিনিসের প্রতি আমার অদম্য কৌতূহল ছিল। আগ্রহ ছিল। আর এখন দেখুন, আমি শহরের বাইরের এই জায়গাটিকেই বেছে নিয়েছি। আপনি দেখতে পাচ্ছেন, চারপাশের জমিগুলো নিদারুণ অবহেলায় পতিত পড়ে আছে। আমাদের সময়ে এত পতিত জমি ছিল না। সমস্ত জমিই চাষ করা হতো। আজ সকলেই দেখুন কেমন শহরের দিকে ছুটছে আর চাষের জমি দিনে দিনে ক্ষয়ে যাচ্ছে।

ভিদা মার্কোভিচ: তাহলে এটা ধরে নিতে পারি যে, আপনি গ্রীষ্মকালে একদমই লেখালেখি করেন না, দু`হাতে জমিতে কাজ করেন প্রকৃত চাষিদের মতো আর অপেক্ষা করেন শীতকাল কবে আসবে...
ফকনার: আমি কেবল তখনই লিখতে বসি যখন অনুভব করি যে, আমার কিছু লিখতে হবে।

ভিদা মার্কোভিচ: আপনার উপন্যাস আমাদের কাছে প্রকৃত আমেরিকাকে তুলে ধরে। এখানকার মানুষের জীবন-দর্শন, তাদের জীবনযাপনের ধারাবাহিকতা, পথ-পন্থা-পদ্ধতি সবই আমরা জানতে পারি। আপনার উপন্যাস থেকে আমরা আমেরিকার সিভিল ওয়ারের তাৎপর্যটা বুঝতে পারি; অনুভব করতে পারি। কালো আর শাদাদের মধ্যকার সম্পর্ক সম্পর্কে ধারণা করতে পারি; কালো মানুষদের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলির গভীরে গিয়ে জানতে পারি; তাদের সম্পর্কে ভাবতে পারি। ভাবনার অনেকগুলি পথ আপনি খুলে দেন। উপন্যাসের বিষয়কে কোথা থেকে গ্রহণ করেন? গল্পগুলি কি আপনি আপনার শৈশব থেকেই শুনে আসছেন?
ফকনার: আমি কখনওই আমার বই নিয়ে কথা বলব না, এমন কি বইগুলির কথা মনে করতেও চাইব না। সেইসব মানুষের কথা আমার মনে পড়ে যাদের নিয়ে আমি লিখেছি। তারা এখনও বেঁচে আছেন। না, আমি আমার বইগুলির কথা মনে করতে চাই না। বইগুলিকে এক সময় লিখেছিলাম কিন্তু এখন তারা আর আমার ভেতরে নেই। ভুলে গেছি। আমি আর কখনওই তাদের কাছে ফিরব না, এমনকি পাতাও উল্টাবো না। লোকে আমার বইপত্র পড়ে থাকেন... একদিন যাদের কথা আমি লিখেছিলাম, তারপর সব কিছু ভুলে গেছি।

ভিদা মার্কোভিচ: উপন্যাসের চরিত্রদের কোথায় পেয়েছেন? চেনা কাউকে মডেল ধরে নিয়ে কি তাদের গড়ে তুলেছেন?
ফকনার: আমি মানুষকে লিখি—  তারা সব সত্যিকার মানুষ; যাদেরকে দেখে আমি জগত চিনেছিলাম। সেই মানুষগুলিকে আমি সত্যিকার অর্থেই চিনতাম।

ভিদা মার্কোভিচ: আপনি তো প্রচুর পড়েন, এই বয়সেও; আপনার প্রিয় লেখকদের কথা বলুন।
ফকনার: আমার কোনও প্রিয় লেখক নেই, প্রিয় বই আছে।

ভিদা মার্কোভিচ: আপনি কি জয়েস, তার `পোট্রেট অব দি আর্টিস্ট` কিংবা তার `ইউলিসিস` পছন্দ করেন না?
ফকনার: ইউলিসিস একবার পড়েছিলাম।

ভিদা মার্কোভিচ: কেমন লেগেছিল?
ফকনার: ইউলিসিস হয়ত ইন্টারেস্টিং তবে আমার তেমন পছন্দ হয়নি, সে কারণে আর কখনওই বইটির কাছে ফিরে যাইনি। কেউ দ্বিতীয়বার কোনও একটি বইয়ের কাছে ফিরে যায় যদি বইটি তার মনে গভীর ছাপ ফেলতে পারে।

ভিদা মার্কোভিচ: কোন বইগুলি আপনার কাছে বেশি প্রিয়? বইগুলি বারবার পড়েছেন, বইগুলির কথা ভেবেছেন, ফিরে পড়তে চেয়েছেন?
ফকনার: দন কিহোতো আমি প্রতি বছর একবার পড়ি, আর পড়ি বাইবেল; বছরে কয়েক ঘণ্টা ডিকেন্স; তারপর- `দ্য ব্রাদার`স কারমাজোভ`, চেখভ...

ভিদা মার্কোভিচ: `দ্য ব্রাদার`স কারমাজোভ`, তাহলে দস্তভেয়ভস্কি আপনার প্রিয় লেখক!
ফকনার: দস্তয়েভস্কি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, তবে `ব্রাদার`স কারমাজোভ` পছন্দ করি; উপন্যাসের আব্রাহাম কি এক বয়স্ক বদমাশ নয়? তাকে আমার দারুণভাবে ভালো লেগে যায়।  

ভিদা মার্কোভিচ: ফকনার, আপনি মিথ সম্পর্কে কী ভাবেন?
ফকনার: হ্যাঁ, মিথ হচ্ছে মানুষের কথা। মিথের আগাগোড়াই মানুষ।

ভিদা মার্কোভিচ: জীবন আগে কত সমৃদ্ধ আর ভরপুর ছিল, তাই না? জীবন থেকে যা কিছু হারিয়ে গেছে আর জীবনকে যাপনের যে পদ্ধতিগুলি আগে চালু ছিল, তাকে তো আজ কেউ অস্বীকার করতে পারব না। আপনার বইগুলিতে জীবনের পক্ষে যে-কথাগুলি বলেছেন, মানুষকে যেভাবে দেখতে চেয়েছেন, সেই জীবনধারা হারিয়ে যাওয়ায় আপনার কি অনুশোচনা হয় না?
ফকনার: আমার কাছে প্রকৃতিই সব। মানুষের কর্মব্যস্ততা, অবিরাম ছুটোছুটি, বিপুল কর্মযজ্ঞকে আমি একসময় তেমন কিছু মনে করতাম না, সেই যখন তরুণ ছিলাম! তখন কিছুই মনে করতাম না, কারণ-আমি তখন এক তরুণ আর তরুণ মানেই বন্য। তারুণ্য সব সময়ই বন্য, উদ্দাম—  যতদিন আমরা তরুণ থাকি। তারুণ্যে, জীবনের অনুভবটা অন্যরকম হয়।

ভিদা মার্কোভিচ: আপনার লেখালেখির শুরু সম্পর্কে বলুন।
ফকনার: যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই লেখালেখি শুরু হয়েছিল।

ভিদা মার্কোভিচ: ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন? আপনি প্যারিসেও ছিলেন। প্যারিসকে পছন্দ করেছিলেন?
ফকনার: প্যারিস সকলের পছন্দের জায়গা, বিশেষ করে কেউ যখন তরুণ বয়সে প্যারিস যায়। কয়েক বছর আগে আমি জাপান, ইতালি আর আইসল্যান্ডে গিয়েছিলাম। স্টেট ডিপার্টমেন্ট পাঠিয়েছিল।

ভিদা মার্কোভিচ: কেমন লেগেছিল সেই ভ্রমণ?
ফকনার: ভ্রমণটা ছিল সত্যিকার অর্থেই কৌতূহলোদ্দীপক, বিশেষ করে ইতালির কথা বলতে হয়। মানুষগুলি আত্মনির্ভরশীল, মনোমুগ্ধকর, হাসিখুশি আর প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। আমার মনে হয়েছিল, কেবল ইতালিওরাই জানে কীভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হয় আর কীভাবে বেঁচে থাকতে হয়।   

ভিদা মার্কোভিচ: আপনার নিরন্তর শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ। আশা করছি কোনও এক দিন যুগোস্লাভিয়ায় আবারও আমাদের সাক্ষাৎ হবে।
ফকনার: স্টেট ডিপার্টমেন্ট যদি পাঠায়... (কথা বলতে বলতে আমরা করমর্দন করলাম)... আমি জানি না আজকের কাঙ্ক্ষিত সাক্ষাৎকারটি আপনি যেরকম আশা করেছিলেন ঠিক সেরকম হয়েছে কীনা। আমি আসলে খুব ভালো করে কথা বলতে পারি না, আলাপি মানুষ বলতে যা বোঝায় আমি ঠিক তা নই। আমি লিখতে পারি, কথা বলতে পারি না।

... ফকনার, এখন আমার মনে পড়ছে কেন আপনার কণ্ঠকে সেদিন আমার খুব চেনা লাগছিল— যেদিন আপনার নোবেল বক্তৃতাটি রেকর্ডে শুনেছিলাম। কথাটা শুনে ফকনার হাসলেন। আমাদের গাড়িটি চলতে শুরু করল; তিনি আর তার নাতি (কন্যা জিলের ছেলে) গাড়িটি দৃষ্টির বাইরের চলে যাবার আগপর্যন্ত হাত নাড়তে থাকলেন।