ওমর সাঈদের প্রেমের কবিতা

প্রকাশিত : মার্চ ২৩, ২০১৮

ব্লাকহোল

আমাকে জানতে চেয়ো না
হারিয়ে যাবে তোমার ইচ্ছের উড়োজাহাজ
কষ্টের মহাশূন্যে

অপ্রত্যাশিত

এই তো সেদিন
গত শীতের কোনও এক রাতে
ডুকরে কেঁদে উঠে বলেছিলে,
তুমি যাদের ভালোবাসো
আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাও
তোমায় ছেড়ে তারা চলে যায়
ছেলেবেলায় মা গ্যাছে
বাবা গ্যালো মাত্র কিছুদিন
বিগত প্রেমিকও ভেঙেচুরে গ্যাছে তোমাকে...
আমাকে নিয়েও সন্দেহের কমতি নেই তোমার।
তোমার দেয়া উপহার ডাইরিটা খুব যত্নে আছে
প্রথম সেই চুমু এখনো গালে লেপ্টে আছে
রাত আছে শীত আছে তোমার সব স্মৃতিরা আছে
রাত জাগার অভ্যাসটা আমি আজও ছাড়িনি
তোমাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি… আমিও আছি…।
আগে যেমনটা ছিলাম তেমনই আছি।
অথচ কী নির্মম…
গল্পটা পালটে দিয়ে তুমিই কেবল চলে গ্যাছো।

অবয়ব

১.
বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে...
-জানালার কপাটটা দ্যাখো
ক্যামন ক্ষত বিক্ষত ঝাঁজরা
-ওটা আমার হৃদপিণ্ড
পার্থক্য শুধু, ওটা ঘুণে খেয়েছে
হৃদপিণ্ড ঘুণে খায় না
খায় না-পাওয়ার যন্ত্রণায়...

২.
হাজারো রাত যার কেটেছে নিঃসঙ্গ
সঙ্গোপনে
তার কাছে আঁধারের গভীরতা জানতে চেয়ো না
ভোরের আগেই যে রাতে চলে যাবে-
তোমার প্রেমিক, অন্য প্রেমিকার হাত ধরে
জানালার এলুমিনিয়াম খুলে দিয়ো
একেকটা নিঃসঙ্গ রাত কতটা অসীম
ক্লান্ত হলেই জানবে...
আলো-আঁধার আর আমার মধ্যেকার দূরত্ব

এখানে কোনও সীমান্ত নেই

১.
চলো…
এই গভীর রাইতে ল্যাম্পোস্টের নিয়ন আলোয় নির্জন রাজপথে তোমারে নিয়া কিছুক্ষণ হাঁটি। সামনেই চেকপোস্ট। পুলিশ জিগাইতেই পারে, এত রাইতে মাগি লইয়া কই যাস? তুমি কিছু মনে কইরো না সোনা। আমার কাছে একশো বিশ ট্যাকা আছে। একশো ট্যাকা অরে দিয়া বাকি ট্যাকায় এক কাপ চা দুজনে ভাগাভাগি কইরা খামু আর পাঁচটা হলিউড কিনে সারা রাইত ধুঁয়া উড়ামু। সামনেই মতি মিয়ার দোকান। ভোররাইত পর্যন্ত খোলা থাকে।

২.
আচ্ছা তুমি শাড়ি পরো না ক্যান, কও তো?
রাইতের রাজপথে জিন্স টিশার্ট এক্কেরেই বেখাপ্পা।
এইগুলা ব্রথেলেই ভালো মানায়।
আমি খদ্দের না,
তোমার উঁচিয়ে রাখা বুকের দিকে তাকাইলে...
আমার লোভ হয় না।
আমি প্রেমিক, বড়ই মায়া হয়।