তুরাগের এজতেমা গ্রান্ড পিকনিক

সাঈফ ইবনে রফিক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ১৪, ২০১৮

দুনিয়া থেকে মুসলিমদের মনোযোগ সরিয়ে নিতেই তবলীগ-জামাতের আর্বিভাব। ইহকাল বাদ দিয়ে মুসলিমরা আকাশ-পাতাল পরকাল নিয়ে ব্যস্ত থাকুক, এটা নিশ্চিত করতেই ইহুদি-নাসারা ষড়যন্ত্রে এই আনস্মার্ট দলটার জন্ম।
নিজের বাড়িতে ইসলাম থাকুক না থাকুক, দল বেঁধে মসজিদে মসজিদে পিকনিক করে ইসলাম কায়েমের হাস্যকর পথে হাঁটছেন মুরুব্বিরা। আসরের পর দাওয়াতে বের হয়ে ব্যস্ত এলাকাবাসীকে মসজিদে ডাকার টেকনিকটাও সেকেলে, বিরক্তিকর।
নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তার সাহাবিদের নিয়ে একপাত্রে খেতেন। তাই বলে তবলিগি কায়দায় একই পাত্রে চাল-ডাল-সবজি মিশিয়ে মাখিয়ে গণহারে খাওয়া সুন্নত হয় কেমনে? নবীজি তো আর এগুলো খেতেন না, তিনি খেতেন শুকনো রুটি-খেজুর।
বলা হচ্ছে, হজের পর বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ। ইসলামে হজ ফরজ, তুরাগের এজতেমা স্রেফ গ্রান্ড পিকনিক। শরিয়ত-মারেফত কোনও অংকেই এজতেমার ফজিলত নাই। হজের সাথে এজতেমার তুলনাটাও শিরকের মতো অপরাধ।
শুক্রবার আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এজতেমার আখেরি মোনাজাত রোববার। থ্রিস্টানদের সাপ্তাহিক প্রার্থনা দিবস।
নিশ্চয়ই প্রশ্ন করা ইসলামবিরুদ্ধ নয়। মেরাজের রাতে নবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) স্বয়ং আল্লাহকে প্রশ্ন করেছেন। স্রষ্টাকে জানতে, চিনতে, আপন করে নিতে প্রশ্ন করেছেন নবীর প্রিয় জামাই হজরত আলী। প্রশ্ন করেছেন বড়পির আবদুল কাদের জিলানী। প্রশ্ন করেছেন খাজা মইনুদ্দিন চিশতী, প্রশ্ন করছেন অসংখ্য আউলিয়া।

 

মনের জানালা বিভাগটি সবার জন্যেই উন্মুক্ত। যে কোনও ব্যক্তিই তার যৌক্তিক যে কোনও মতামত এখানে জানাতে পারবেন। মতামতের জন্যে কর্তৃপক্ষ দায়ি নয়।