সংগৃহিত

সংগৃহিত

স্ত্রী এবং রক্ষিতা

পর্ব ১৪

সরদার মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮

বাদল নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না! কে? অামি রিক্তা। বাদল অনেকটা হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলে দিল। তুমি!!! এখানে কেন? কখন অাসলে? কিভাবে অাসলে? বাদল এক নিশ্বাসে সব কথা বলে ফেলল। কথা শেষে বাদল অনেকটা হাপিয়ে উঠেছে। সে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। রিক্তা বাদলকে ঠেলা দিয়ে শরিয়ে সোজা গিয়ে খাটের উপর শুয়ে পড়ল। খাটে শুয়েই রিক্তা অনেকটা তাচ্ছিল্যের সাথে তার বুকের উপর থাকা ওর্ণাটি ছুড়ে ফেলে দিল খাটের কিনার ঘেষে।

 

বাদল হাঁ করে তাকিয়ে অাছে রিক্তার দিকে। সে কি ভুল দেখছে? না কি ঠিক? বাদলের চোখের ঘোর কাটছে না। এরই মধ্যে রিক্তা কোন কথা না বলে ঘরের দরজার সিটকিনিটা লাগিয়ে দিয়ে খাটের পাশে এসে দাড়াল। খানিক নিরবতা কে কি বলবে? তারই অপেক্ষা। বাদল বলার সময় পায়নি, চোখের পলকে, রিক্তা তার পরনের কামিজটি খুলে, একেবারেই সোজাসাপটা হয়ে দাড়িয়ে থাকলো বাদলে সামনে।

 

এই পাগলা! অামরা কিন্তু মাঝ নদীতে, তুই কিন্তু নড়াচড়া করিস না। এখন পাগল কি করবে? রিক্তার মুখে দুষ্টুমির হাসি, তার শরীরের উপরের অংশের অন্তর্বাসটি এক ঝটকায় খুলে ফেলে, দৌড়ে গিয়ে ঢুকে পড়ল বিছানার চাদরের ভিতরে।

 

বাদলের মন দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিভক্ত। সে কি দেখছে! সে কি করবে! এমন ভাবনার মাঝে, মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা কামনার পশুটি ঝাপিয়ে পড়ার কুমতলব দিচ্ছে। এই মেয়েটিকেই কিছুদিন পূর্বে, এই ঘরেই সে নেকড়ের মতো ছিড়ে ছিড়ে খেয়েছিল। মেয়েটি দেহের সমস্ত শক্তি দিয়েও ঐ দিন বাদলের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বাদল তার নরম শরীরটি ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছিল। সে ধর্ষিতা হয়েছিল। সেই মেয়েটিই অাজকে তাকে কামনার নিমন্ত্রণ দেয়!

 

রিক্তা চলে যাবার পর থেকে, বাদল অনেকটাই নারী শরীরের জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল। মিতালীর সাথে তার সময় ভাল যাচ্ছিল না। অাজকের দিনটির জন্য সে প্রস্তুত ছিল না। এ এক অনাকাঙ্ক্ষিত পাওনা।

 

এদিকে রিক্তা তার শরীরের উপর জড়িয়ে থাকা বিছানার চাদরটি সরিয়ে রেখে নিরবে। এখন সে একেবারেই, রিক্তার ছোট্ট দেহটি বাদলের কামনাকে, পশু হতে বাধ্য করছে। বাদল পশু হতে চায় না, সে মানুষ হয়েই রিক্তার কামনার জলে অবলোকন করতে চায়। সে ধীরে ধীরে বিছানার কাছে গিয়ে দাড়ায়, রিক্তার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি তাকে অারও বেশী উত্তেজিত করে তুলছে, এবার বাদল হেরে গেল, হেরে গেল নিজের স্বত্বার কাছে, জড়িয়ে পড়ল নিষিদ্ধ কামনার মায়াবী বন্ধনে। রিক্তা, বাদল দুজনই সমানভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, কে জিতবে বলা যাচ্ছে না, তবে, জেতার চেয়ে, অন্যকে জেতাতেই তারা বেশী ব্যস্ত। তাদের শরীরীযুদ্ধে মাথার উপর ঘূর্ণায়মান সিলিং ফ্যানটিও হতভম্ব! ঘুড়ছে খুবই অাস্তে। মনে হয়, ফ্যানটি লজ্জা পেয়েছে, হয়েছে দিশেহারা।

 

রিক্তার নরম শরীরটি বাদলের কাছে অনেকটা পরিপক্ব মনে হচ্ছে অাজকে। বাদল পাগলপ্রায়, সে সমুদ্রের ঢেউযুক্ত পানিতে অানন্দে সাঁতরিয়ে যাচ্ছে, হাবুডুবু খাচ্ছে, পুনরায় ভেসে উঠছে। জীবনের অর্থবহ ভালবাসা এখানে নগন্য।

 

(চলবে)