কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের আজ মৃত্যুদিন

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের আজ মৃত্যুদিন। ১৯৭০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। ১৮৮৩ সালের ৩ মার্চ অবিভক্ত বাংলার (বর্তমানের পশ্চিমবঙ্গের) পূর্ব বর্ধমান জেলার কোগ্রামে (বর্তমানে কুমুদগ্রাম) মাতুলালয়ে তার জন্ম।

পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলার বৈষ্ণবতীর্থ শ্রীখণ্ড গ্রামে। পিতা পূর্ণচন্দ্র মল্লিক ছিলেন কাশ্মীর রাজসরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। মাতা ছিলেন সুরেশকুমারী দেবী।

কুমুদরঞ্জন ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স, ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজ বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে এফ.এ. এবং ১৯০৫ সালে বঙ্গবাসী কলেজ থেকে বি.এ. পাস করেন ও বঙ্কিমচন্দ্র সুবর্ণপদক প্রাপ্ত হন।

এখনকার পূর্ব বর্ধমান জেলার মাথরুন নবীনচন্দ্র বিদ্যায়তনের প্রধানশিক্ষক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

বাল্যকাল থেকেই কুমুদরঞ্জনের কবিত্বশক্তির বিকাশ ঘটে। কবির গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে অজয় ও কুনুর নদী। এই গ্রাম আর নদীই কবির মুখ্য প্রেরণা। কবিতায় নির্জন গ্রামজীবনের সহজ-সরল রূপ তথা নিঃস্বর্গ প্রেম চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।

পল্লী-প্রিয়তার সঙ্গে বৈষ্ণবভাবনা যুক্ত হয়ে তার কবিতার ভাব ও ভাষাকে স্নিগ্ধতা ও মাধুর্য দান করেছে। `কপিঞ্জল` ছদ্মনামে তিনি চুন ও কালি নামে ব্যঙ্গকাব্য রচনা করেন।

তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলো হচ্ছে: শতদল (১৯০৬ - ০৭), বনতুলসী (১৯১১), উজানী (১৯১১), একতারা (১৯১৪), বীথি (১৯১৫), চুন ও কালি (১৯১৬), বীণা (১৯১৬), বনমল্লিকা (১৯১৮), কাব্যনাট্য দ্বারাবতী (১৯২০), রজনীগন্ধা (১৯২১), নূপুর (১৯২২), অজয় (১৯২৭), তূণীর (১৯২৮) ও স্বর্ণসন্ধ্যা (১৯৪৮)।

তার অপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটি `গরলের নৈবেদ্য`। এটি সোমনাথ মন্দির সম্পর্কিত ১০৮টি কবিতার সংকলন।

বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদের প্রতিষ্ঠান `সাহিত্যতীর্থ` এর তিনি তীর্থপতি ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে `জগত্তারিণী স্বর্ণপদক` দিয়ে সম্মান জানায়। ১৯৭০ সালে ২১ এপ্রিল ভারত সরকার তাকে `পদ্মশ্রী` উপাধিতে ভূষিত করে।