ইজরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ২৪
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ২৩, ২০২৫
ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামরায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় কয়েকজন শিশুসহ ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৮৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার প্রথম হামলাটি হয় উত্তর গাজা সিটির একটি গাড়িতে। এরপর মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরেও হামলা হয়।
আল-শিফা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামি মোহান্না বলেন, “গাজা সিটির রিমাল এলাকায় ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে।”
এছাড়া দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে ইজরায়েলি হামলায় এক নারীসহ তিনজন নিহত হয়। সেখানে থাকা খলিল আবু হাতাব বলেন, “হামলার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বাইরে তাকাতেই দেখি, পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। কান ঢেকে রেখে তাঁবুতে থাকা সবাইকে দৌড়াতে বলি। পরে বুঝতে পারি, পাশের বাড়ির ওপরের তলা উড়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। এভাবে বাঁচা যায় না। কোথাও নিরাপদ নয়।”
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইজরায়েল অন্তত ৪৯৭ বার তা লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় ৩৪২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু, নারী ও বয়স্ক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইজরায়েলি বাহিনীর এ ধরনের ধারাবাহিক ও গুরুতর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক মানবিক আইন ও চুক্তির সুস্পষ্ট বিরোধী।”
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় ইজরায়েলি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামাসের এক যোদ্ধা সেনাদের ওপর হামলা করলে এর প্রতিক্রিয়ায় তারা অভিযান চালানো হয়। ইজরায়েল পাঁচজন সিনিয়র হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
হামাস বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইজরায়েল মনগড়া অজুহাতে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করছে। আমরা মধ্যস্থতাকারীদের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাই। যুক্তরাষ্ট্রকে তার আশ্বাস বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি মানতে ইজরায়েলকে বাধ্য করতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা
























