এবার ডাকসু নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ৭ লাখ টাকা

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : নভেম্বর ০৭, ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে এবার ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় যা প্রায় সাড়ে তিনগুণ বেশি।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ৪১টি খাতে এই ব্যয় হয়েছে। আগের নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৩১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

 

সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে ব্যালট পেপার মুদ্রণ, স্ক্যানিং ও ফলাফল প্রস্তুত খাতে— ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভা খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার এবং পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনায় চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খরচ হয়েছে ৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা।

 

১৮টি হলে ৩৬ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ভোট গ্রহণের দিন দায়িত্ব পালনকারী ২৬৬ কর্মকর্তার জন্য ব্যয় হয়েছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। ব্যালট বক্স কেনা ও মেরামতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

 

উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরের সভা ও আপ্যায়ন খাতে ব্যয় হয়েছে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আর সিসি ক্যামেরা ভাড়া ও হার্ডডিস্ক কেনায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ লাখ ২ হাজার টাকা।

 

২০১৯ সালের নির্বাচনে একই ধরনের খাতে ব্যয় ছিল অনেক কম। তখন ব্যালট পেপার ডিজাইন, সরবরাহ ও স্ক্যানিংয়ে ব্যয় হয়েছিল ১২ লাখ ৮২ হাজার টাকা, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সভা খরচ ২ লাখ এবং উপাচার্য-প্রক্টর দপ্তরের সভা ও আপ্যায়নে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

 

এবার ব্যয় কেন এত বেড়েছে, জানতে চাওয়া হলে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, “এখানে যে ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়েছে, সেখানে অনেক খাত অন্তর্ভুক্ত আছে। তাই মোট ব্যয় নিয়ে এখনই মন্তব্য করব না। বিষয়টি পর্যালোচনা করে বলতে হবে।”

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ডাকসুর জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। ৫ বছরে এ খাতে আয় হয়েছে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে এবারের নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থের প্রায় ৯২ দশমিক ৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে।”