কবি বন্দে আলী মিয়ার আজ জন্মদিন
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর
থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর।
পাড়ার সকল ছেলে মোরা ভাই ভাই
একসাথে খেলি আর পাঠশালে যাই।
ছোটবেলায় এই কবিতাটি পড়েনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বড় দুষ্কর। কারণ লেখাটি পাঠ্যবইতে ছিল। বাংলা সাহিত্যে পরিচিত একনাম বন্দে আলী মিয়া। যিনি একাধারে ছিলেন প্রথিতযশা কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। ছোটবেলায় যার নাম আমার হরহামেশাই উচ্চারণ করতাম, আজ তিনি কালের বিবর্তনে অনেকটা হারিয়ে যাচ্ছেন।
বন্দে আলী মিয়ার আজ জন্মদিন। ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। রূপকথার গল্প শুনতে তিনি বেশ পছন্দ করতেন এবং ছবি আঁকতে পারতেন। তার ছবি আঁকার হাতেখড়ি হয় কাঠকয়লা দিয়ে।
প্রথিতযশা এ লেখকের উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলো হলো: ময়নামতির চর, ধরিত্রী, অনুরাগ, মধুমতির চর ও পদ্মা নদীর চর। বন্দে আলী মিয়ার বিখ্যাত উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে: গোধূলী, অরণ্য, নীড়ভ্রষ্ট, ঝড়ের সংকেত, জীবনের দিনগুলো, শেষ লগ্ন, বসন্ত জাগ্রত দ্বারে ও অরণ্য গোধূলি।
তিনি বেশকিছু শিশুতোষ গ্রন্থ লিখেছেন। এর ভেতর উল্লেখযোগ্য হলো: মেঘকুমারী, চোর জামাই, মৃগপরী, কামাল আতার্তুক ও বোকা জামাই।
শিশুসাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৬৫ সালে প্রেসিডেন্ট পুরস্কার ও উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক লাভ করেন।
বন্দে আলী মিয়া ১৯৭৯ সালের ১৭ জুন রাজশাহীতে মারা যান। তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
























