গাজায় ইজরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহত ছাড়ালো ৬৯ হাজার
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : নভেম্বর ০৯, ২০২৫
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইজরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে পৌঁছেছে। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইজরায়েলি হামলায় ২৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবার ২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরের পরও নানা অজুহাতে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েলি সেনারা।
স্থানীয়দের দাবি, গাজার উত্তর সীমান্তে ‘ইয়েলো লাইন’ অতিক্রম করার অভিযোগ তুলে হত্যা করেছে কয়েকজনকে। যুদ্ধবিরতির পর নির্ধারিত এই ‘ইয়েলো লাইন’ আসলে অদৃশ্য এক সীমা, যা কোথায় রয়েছে কেউ জানে না। এতে ইজরায়েলি বাহিনীর গুলিতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। হামলা চলছে অন্যান্য এলাকাতেও। নেতানিয়াহু বাহিনীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণ গেছে শিশুরও।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ইজরায়েল প্রায় ২ লাখ টন বোমা ফেলেছে গাজায়, যার মধ্যে ৭০ হাজার টন এখনো নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
গাজার শেখ রাদওয়ান এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ দূষিত পানির সংকট। বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পুকুরে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। ইজরায়েলি হামলায় পাম্প স্টেশন ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ওই পানি ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসতি ও আশ্রয়শিবিরে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পানির স্তর ৬ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে, যা দুর্গন্ধ, মশা ও সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করেছে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার ভূগর্ভস্থ পানির বেশির ভাগ অংশই এখন মারাত্মকভাবে দূষিত।
পশ্চিম তীরেও বাড়ছে সহিংসতা। জেনিনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রাবা গ্রামে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘরে হামলা চালায় ইজরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা। তাদের সহায়তা করছে সেনারা।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম তীরে ৭০টি গ্রামে ১২৬টি সহিংস হামলা হয়। পুড়ে গেছে ৪ হাজারের বেশি জলপাই গাছ। সূত্র: আল জাজিরা























