‘ছাত্র হত্যার হোতা শতাধিক পুলিশ সদস্য’
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে শিক্ষার্থীসহ অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়। আহত হয় কয়েক হাজার।
এসবের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেন শতাধিক পুলিশ সদস্য। আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞে সরাসরি অংশ নেওয়া ও নেতৃত্বদানকারী ৯৫ পুলিশ সদস্যের নামে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ১৩ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৮৪টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানায়, ৯১টি।
সম্প্রতি কয়েকজন মাস্টারমাইন্ড পুলিশ সদস্যকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৮টি মামলা হয়েছে ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদের নামে। এর পরের অবস্থানে রয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তার নামে মামলা হয়েছে ৩৬টি।
সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নামে মামলা হয়েছে ৩৩টি, ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের নামে ২৭টি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলামের নামে ১১টি, ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইকবাল হোসাইনের নামে ৮টি মামলা হয়েছে।
এই ছয়জন হাই প্রফাইল পুলিশ সদস্যের মতো আরও শতাধিক পুলিশ সদস্য সরকারের কাছ থেকে আন্দোলন দমাতে যে মাত্রার নির্দেশনা পেয়েছেন, প্রয়োগ করেছেন তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। এ পর্যন্ত এ ধরনের ৯৫ পুলিশ সদস্যের নামে মামলা হলেও বেশ কিছু পুলিশ সদস্যের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ও মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করার দায়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২টার দিকে উত্তরা ও কচুক্ষেত থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা করা হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও আছে।