নির্বাচন করতে মাহমুদুর রহমান মান্নার আর কোনো বাধা নেই
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫
বগুড়া থেকে নির্বাচন করতে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার কোনো বাধা নেই। কারণ, ঋণখেলাপির তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত।
আজ সোমবার সকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত এই আদেশ দেন। হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ঋণখেলাপি থেকে নিজের নাম বাদ দিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মান্না।
২৪ ডিসেম্বর সেই রিট খারিজ করে ঋণখেলাপি থাকবেন বলে রায় দেন বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে রোববার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি করেন মান্নার আইনজীবী।
৩ ডিসেম্বর মান্নার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের কাছে খেলাপি ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ে ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়ার বড়গোলা শাখা।
মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো এই নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না-করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, আফাকু কোল্ড স্টোরেজের মালিকানায় মান্না ৫০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ও পরিচালক ইসমত আরা লাইজু ২৫ শতাংশ অংশীদার।
৩ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক বাজারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির কাছে খেলাপি বিনিয়োগ বাবদ ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ব্যাংকের নোটিশে বলা হয়, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ করেনি। ফলে বকেয়া বেড়ে বর্তমান পরিমাণে দাঁড়িয়েছে।
লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কোনোরকম অগ্রগতি না-থাকায় চূড়ান্ত সতর্কতা হিসাবে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলেও ‘কল ব্যাক নোটিশে’ উল্লেখ করা হয়েছিল।























