পুনরায় পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরুর নির্দেশ ট্রাম্পের
ছাড়পত্র ডেস্কপ্রকাশিত : অক্টোবর ৩০, ২০২৫
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে (পেন্টাগন) যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রম পুনরায় শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার রাতে সোশাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ট্রুথে পোস্টে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “রাশিয়া ও চীন যেভাবে পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বা সফল পরীক্ষা চালাচ্ছে, তার পাল্টা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। যে কোনও দেশের তুলনায় পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার আমেরিকার অনেক বেশি। তালিকায় দুইয়ে থাকবে রাশিয়া। আর চীন তিনে থাকলেও ব্যবধান অনেকটাই বেশি।”
তিনি আরও লেখেন, “অন্যান্য দেশগুলি যেভাবে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষামূলক কর্মসূচি চালাচ্ছে, তা দেখেই দেশের সামরিক বাহিনীকে এই নির্দেশ দিয়েছি। অবিলম্বে এই পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু হবে। আমি এটার বিরোধী। কিন্তু আমার হাতে আর কোনও বিকল্প ছিল না।”
বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া সফলভাবে একটি পোসেইডন পারমাণবিক শক্তিচালিত সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্রটি বিশাল আকারের বিকিরণযুক্ত সমুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোকে ভয়াবহভাবে ধ্বংস করার সক্ষমতা রাখে।
যুক্তরাষ্ট্র শেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সাধারণত এ ধরনের পরীক্ষা নতুন অস্ত্রের কার্যক্ষমতা যাচাই এবং পুরনো অস্ত্রগুলো কার্যকর আছে কিনা তা নির্ধারণে সহায়তা করে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহের পাশাপাশি এই পরীক্ষা রাশিয়া ও চীনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি প্রদর্শনের কৌশলগত উদ্যোগ।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৫ সালের জুলাইয়ে নিউ মেক্সিকোর আলামোগোর্ডোতে ২০ কিলোটন ক্ষমতার একটি পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা চালিয়ে পারমাণবিক যুগের সূচনা করে। এরপর ১৯৪৫ সালের আগস্টে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা ফেলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। সূত্র: বিবিসি























