প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে আগুন ও ভাঙচুর

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। একদল হামলাকারী ঢাকার কারওয়ানবাজারে অবস্থিত দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে দুটি অফিসেই ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।

প্রথম আলোর চারতলা ভবনটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে। ভবনটিতে প্রথম আলোর প্রকাশনা প্রথমাসহ কয়েকটি বিভাগের কার্যালয় ছিল। আগুনে ডেইলি স্টারের ভবনের নিচতলা ও দোতলা পুড়ে গেছে। ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুরের চিহ্ন দেখা গেছে।

শুক্রবার সকালে ডেইলি স্টারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে গণমাধ্যমের দুটির কার্যালয়ে হামলার সময় ভেতরে থাকা সংবাদকর্মীরা আটকে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ক্রেনের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার সময় অফিসের ভেতরে লুটতরাজও হয়।

ঘটনাস্থলে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর গেলে তাকেও হেনস্তার শিকার হতে হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে শুক্রবার সকালে প্রথম আলোর সামনে র‍্যাব ও পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেলেও সেনা সদস্যদের দেখা যায়নি।

প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, “হামলায় অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে অনলাইন পোর্টালে আপাতত সংবাদ প্রকাশ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হামলার কারণে প্রথম আলোর প্রকাশনা স্থগিত রাখতে হয়েছে। পুরো ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত। সাংবাদিকতার জন্য এটি একটি বড় আঘাত।”

ডেইলি স্টারের কর্মীরা জানান, হামলাকারীরা ভবনের প্রায় সব তলায় ভাঙচুর চালিয়ে ক্যামেরা ও হার্ডড্রাইভসহ মূল্যবান সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে গেছে।

রাত ১টার দিকে ধানমন্ডিতে অবস্থিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের ভবনেও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার পর ছায়ানট ফেসবুকে ঘোষণায় ‘ছায়ানট সঙ্গীতবিদ্যায়তন’সহ সব কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার কথা জানায়।

এর পাশাপাশি ধানমন্ডি-৩২-এ অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আবারও ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ সকালেও বাড়িটির অবশিষ্ট দেয়াল ভাঙার দৃশ্য টেলিভিশনের লাইভ সম্প্রচারে দেখা যায়।