প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার পত্রিকা দুটির সম্পাদক মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনামের সঙ্গে টেলিফোনে তিনি এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফেসবুক পেজ থেকে এই ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আলাপকালে প্রফেসর ইউনূস গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান দুটির এবং সেখানে কর্মরত সংবাদকর্মীদের ওপর চালানো এই সহিংসতায় ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত হওয়ার কথা জানান এবং এই সংকটময় মুহূর্তে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

ফোনালাপের সময় প্রধান উপদেষ্টা দুই সম্পাদককে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের হামলা কেবল দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নয়, বরং এটি দেশের সামগ্রিক স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণের শামিল। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এ ধরনের ঘটনা এক বিরাট অন্তরায় সৃষ্টি করে।”

সংবাদপত্রের কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুরের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য কখনোই কাম্য হতে পারে না। এই দুঃসময়ে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার করেন তিনি।

টেলিফোন সংলাপের একপর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টা পত্রিকা দুটির কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সম্পাদকদের আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান যে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও অব্যাহত থাকবে।

একই সঙ্গে খুব শীঘ্রই এই দুই সম্পাদকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করবেন বলেও প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তার কথোপকথনে উল্লেখ করেন। এই ফোনালাপের মাধ্যমে সরকার স্বাধীন গণমাধ্যমের সুরক্ষা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার বিষয়ে তাদের দৃঢ় অবস্থান পরিষ্কার করল।

উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ একদল মানুষ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে। বর্তমানে প্রথম আলো কার্যালয় ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অগ্নিনির্বাপণ কাজের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।