প্রভাবশালীদের ইজরায়েলি প্রচারণা, পোস্টপ্রতি ব্যয় ৭ হাজার ডলার

আন্তর্জাতিক পরিসরে ইজরায়েলের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবশালীরা (ইনফ্লুয়েন্সার) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে স্বীকার করেছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গত শুক্রবার বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেন, “আমাদের লড়াই চালাতে হবে। আমরা কীভাবে প্রতিরোধ করব? আমাদের প্রভাবশালীরা… তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন এজেন্টস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টে (এফএআরএ) দাখিল করা নথি অনুযায়ী, ইজরায়লপন্থি কনটেন্ট প্রকাশে কয়েকজন প্রভাবশালীকে প্রতি পোস্টের জন্য গড়ে ৭ হাজার ডলার পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।

টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে ইজরাইলপন্থি কনটেন্ট দেওয়ার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাবশালীদের প্রতি পোস্টে ৬ হাজার ১৪৩ থেকে ৭ হাজার ৩৭২ ডলার পর্যন্ত পরিশোধ করা হচ্ছে।

চুক্তিপত্রে দেখা যায়, ব্রিজ পার্টনার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইজরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হয়ে কাজ করছে। তারা হাভাস মিডিয়া গ্রুপ জার্মানিকে ‘ইনফ্লুয়েন্সার ক্যাম্পেইন’ বাবদ জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ডলারের বিল দিয়েছে।

আইনি ও ব্যাংকিং খরচসহ বিভিন্ন খরচ বাদ দেওয়ার পর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য বরাদ্দ থাকে প্রায় ৫ লাখ ৫২ হাজার ৯৪৬ ডলার। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭৫ থেকে ৯০টি পোস্ট তৈরি হলে, প্রতি পোস্টে গড়ে প্রায় ৭ হাজার ডলার হিসেবে পরিশোধ করা হচ্ছে।

অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এস্থার প্রজেক্ট’। তবে এটি মার্কিন হারিটেজ ফাউন্ডেশনের ‘প্রজেক্ট এস্থার’-এর সঙ্গে যুক্ত কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়।

ব্রিজ পার্টনার্সের মালিক ইয়ায়ির লেভি ও উরি স্টেইনবার্গ, যাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন সাবেক ইজরায়েলি সেনা মুখপাত্র ইউনিটের মেজর নাদাভ শ্র্টাউকলার। আইনি সহায়তা দিচ্ছে পিলসবুরি উইনথ্রপ শ’ পিটম্যান নামের প্রতিষ্ঠান, যারা একসময় কুখ্যাত এনএসও গ্রুপকে প্রতিনিধিত্ব করেছিল।

প্রকল্পে জড়িত প্রভাবশালীদের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। হাভাস মিডিয়া গ্রুপ বা ব্রিজ পার্টনার্স কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি।

তবে স্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া পরিসরে ইজরায়েলি বর্ণনা প্রতিষ্ঠা করতে এবং জনমত প্রভাবিত করতে পেইড সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারণাকেই কৌশল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। সূত্র: রেসপনসিবল স্টেটক্রাফট