গাজাগামী নৌবহরে ইজরায়েলি বাধার প্রতিবাদে ইউরোপজুড়ে অবরোধ-ভাঙচুর

ছাড়পত্র ডেস্ক

প্রকাশিত : অক্টোবর ০৩, ২০২৫

ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখি নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাতে ইজরায়েলি বাহিনীর অভিযান ও চারশোর বেশি অংশগ্রহণণকারীকে আটকে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইউরোপ। বৃহস্পতিবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করার পাশাপাশি দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করে।

স্পেনের বিক্ষোভকারীরা বার্সেলোনার বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর জানালা ভাঙচুর করে ও ইজরায়েল বিরোধী স্লোগান দেয়।

ইতালিতে শিক্ষার্থীরা মিলানের স্টাতালে ও রোমের লা সাপিয়েঞ্জাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে বিক্ষোভ করে। বলোনিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ির টায়ার ফেলে পথ অবরোধ করা হয়। তুরিনে শত-শত মানুষ শহরের রোড অবরোধ করে রাখে।

ইতালির রোমে চিকিৎসক, নার্স ও ফার্মাসিস্টসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা একটি ফ্ল্যাশ মব আয়োজন করে। তারা টর্চলাইট ও মোবাইলের আলো জ্বেলে গাজায় নিহত ১ হাজার ৬৭৭ স্বাস্থ্যকর্মীর নাম পড়ে শোনায়। এছাড়া, গাজামুখি ত্রাণবাহী নৌবহরের সমর্থনে ইতালির ট্রেড ইউনিয়নগুলো দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর অংশ হিসেবে মিছিল বা সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।

ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব বিক্ষোভের সমালোচনা করেছেন। সেই সঙ্গে সুমুদ ফ্লোটিলার সমালোচনা করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।

আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিন, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, জার্মানির রাজধানী বার্লিন ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হাজারও বিক্ষোভকারী সড়কে নেমে ক্ষোভ প্রকাশ করে। আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্স, মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি ও পাকিস্তানের করাচিতেও বিক্ষোভ হয়েছে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে জড়ো হয় সাধারণ জনগণ। সেসময় তারা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ‘ইজরায়েল গাজাকে নয়, মানবতাকেই হত্যা করছে। নীরব থেকো না, বসে থেকো না, উঠে দাঁড়াও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

বুধবার থেকে ইজরায়েলি বাহিনী সুমুদ ফ্লোটিলার প্রায় ৪৪টি নৌযানের মধ্যে ৪৩টি আটক করেছে এবং প্রায় ৫০০ কর্মীকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, বার্সেলোনার সাবেক মেয়র আডা কোলাউ, ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসান ও পাকিস্তান জামায়াত-ই-ইসলামীর সাবেক সিনেটর মুস্তাক আহমদ খান।

আটককৃতদের ইজরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখান থেকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল। সূত্র: আল জাজিরা ও রয়টার্স